অড়হর ডালের মুখরোচক ৭টি খাবার উদ্ভাবন বাকৃবি গবেষকের

অড়হর গাছের বীজ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মুখরোচক ৭টি খাবার উদ্ভাবন করে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির। অড়হর গাছ থেকে সফলতা পাওয়া উদ্ভাবিত পণ্যগুলো হলো- শুকনো বীজের অড়হর-রুটি, অড়হর-পুরী, অড়হর-সিংগাড়াসহ সেদ্ধ কাঁচা বীজের পেস্ট দিয়ে অড়হর-হালুয়া ও অড়হর-কাবাব, অড়হর বীজ ভাজা এবং কাঁচা বীজের সবজি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওই গবেষক। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং অধ্যাপক ড. মো. নেছার উদ্দীন।

প্রধান গবেষক ড. ছোলায়মান আলী ফকির জানান, দেশে প্রধান খাদ্য চালের উপর চাপ কমাতে অড়হর-রুটি ভাতের বিকল্প খাদ্য হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এই ডালের পেস্ট ময়দার সাথে মিশিয়ে রুটি তৈরি করা হয়েছে। ভাতের চেয়ে অড়হর কার্বোহাইড্রেট অনেকাংশে কম থাকায় ওজন কমাতে কার্যকর। খুব স্বল্প খরচেই ডালের চাহিদা পূরণে এ গাছ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। গাছটি খরা সহনশীল ও পতিত জমিতে দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় স্বল্প খরচে এবং স্বল্প পানি ব্যবহারে বৃদ্ধি পায়। অড়হর তরকারিতে মটরশুঁটির বিকল্প ডাল জাতীয় খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এটি।

তিনি জানান, অন্যান্য ডালের মত অড়হর বীজে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ ও পুষ্টি বিদ্যমান। কম চর্বি, বেশি আঁশ ও খনিজ পদার্থ থাকায় এ ডাল একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। নিম্নমাত্রায় কোলেস্টরেল এবং উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম ও আঁশ বিদ্যমান থাকায় অড়হর বীজ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পাতার রস জন্ডিস নিরাময়ে কার্যকর। অড়হর ডালে রক্তশুন্যতা উপশমে সাহায্য করে। এছাড়াও অড়হর ডাল ওজন কমাতে ভিটামিন-বি, রিবোফ্লাবিন ও নিয়াসিনের উপস্থিতিতে দেহে শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

অড়হরের জাত ভেদে গাছ প্রতি ২’শ থেকে ৫’শ গ্রাম শুকনো ডাল এবং ৫শ’ ৫০ থেকে ৯শ’ গ্রাম সবজি বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও জমিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৪’শ থেকে ৮’শ কেজি ডালের ফলন হয়ে থাকে।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 − 2 =