আইয়ুব বাচ্চুর গান থেকে নয় মাসে আয় ৫ হাজার ডলার

প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গানের রয়্যালটি হিসেবে প্রায় ৫ হাজার ডলার রেমিট্যান্স জমা হয়েছে বলে জানিয়েছে কপিরাইট অফিস। ২০১৭ সালে অনলাইনে আইয়ুব বাচ্চু নিজের কিছু গানের কপিরাইট নিবন্ধন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর প্রয়াত হন এই ব্যান্ডতারকা।

২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর থেকে কপিরাইট অফিসের ব্যবস্থাপনায় আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবি কিচেন নামে একটি ওয়েবসাইটে আইয়ুব বাচ্চুর গানগুলো সংরক্ষণ করা হয় বলে জানান কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।

জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘এবি কিচেন ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয় ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর। তারপর মনিটাইজ করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়্যালটি প্রাপ্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে আরও দু-তিন মাস লেগে যায়। মূলত ৯ মাস ধরে রয়্যালটি জমা হতে শুরু করে। কপিরাইট নিবন্ধনকৃত ২৭২টি গানের ডিজিটাল আর্কাইভিং কর্মসূচিটি বাস্তবায়িত হওয়ার পর ইতিমধ্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রয়্যালটি হিসেবে প্রায় ৫ হাজার ডলারের মতো রেমিট্যান্স জমা হয়েছে।’

কপিরাইট অফিস জানায়, সরকারিভাবে কোনো শিল্পীর মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় ডিজিটাল আর্কাইভিংয়ের এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশে এই প্রথম। শিল্পীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ই-কপিরাইট আবেদনকারী ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। জীবিত থাকা অবস্থায় তার ২৭টি অ্যালবাম কপিরাইট করে গেছেন তিনি, যার মধ্যে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ গানের গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী তিনি। সেসবের ২৭২টি গান সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হয়। গানের পাশাপাশি তার জীবনের নানা ঘটনা, বায়োগ্রাফিও স্থান পেয়েছে এই ওয়েবসাইটে।

কপিরাইট অফিস জানায়, মঙ্গলবার অর্জিত রয়্যালটির চেক প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উপস্থিত থেকে চেক হস্তান্তর করবেন। এছাড়া কপিরাইট অফিসের কর্মকর্তা এবং সংগীতসংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × 5 =