সালেক সুফী
পেট্রোবাংলা গভীর সাগরে পেট্রোলিয়াম অনুসদ্ধানে আগ্রহীদের ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগামী ৮-৯ মে ঢাকায় আগ্রহী আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর সাথে মডেল পিএসসি ২০২৩ বিভিন্ন আর্থিক, অর্থনৈতিক প্রণোদনা সহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে। অভিজ্ঞতা হতে বলা যায় বিদেশে ব্যায়বহুল রোড শো থেকে ঢাকার আয়োজন অনেক কার্যকরী হবে।
বাংলাদেশে জ্বালানি বিদ্যুৎ সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুর, লন্ডন, নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত রোড শো থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। বিদেশে বাংলাদেশি মিশন সমূহ আদৌ সেইসব দেশের শীর্ষস্থানীয় তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না। সেইসব দেশের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ মিশন গুলো থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাই বিদেশে রোড শো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বার্থ হয়।
আশা করি ৮ এবং ৯ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে সত্যিকারের আগ্রহী বিনিয়োগকারী তেল কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিবিড় মত বিনিময় বিনিয়োগকারীদের আস্থাশীল করবে।
বাংলাদেশ কিন্তু জ্বালানি সঙ্কটের কারণে দীর্ঘস্থায়ী জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। অনেকের ধারণা বাংলাদেশের সাগরে বিপুল পরিমাণ পেট্রোলিয়াম সম্পদ আবিষ্কারের সম্ভাবনা আছে। সাগরে গ্যাস তেল অনুসন্ধানে অনেক ঝুঁকি আছে। বাংলাদেশ অঞ্চলে গ্যাস তেল অনুসদ্ধান শতবর্ষ পেরুলেও দেশীয় কোম্পানিগুলোর সাগরে অনুসন্ধানের মত কারিগরি দক্ষতা অথবা আর্থিক সক্ষমতা গড়ে উঠেনি।
সরকার সীমিত সামর্থ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অর্থ বিনিয়োগের সম্ভাবনা রাখে না। সীমিত অভিজ্ঞতার পলিসি মেকার্সরা অতিমাত্রায় রক্ষণশীল থাকায় আড়াই দশক সময়ে বাংলাদেশে গ্যাস তেল অনুসন্ধানে স্থবিরতা বিরাজ করছে। মডেল পিএসসির প্রণোদনা সমূহ বিনিয়োগ বান্ধব না হওয়ায় এবং সুশীল সমাজের উৎপাদন বণ্টন চুক্তি বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা থাকায় বাংলাদেশে গ্যাস তেল সম্পদের বিপুল অংশ স্থলে এবং সাগরে অনাবিষ্কৃত আছে।
আশা করা যায় বর্তমান সংকটের সময়ে সরকার স্বচ্ছ ভাবে বিনিয়োগকারীদের স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন করে পেশাদারি মনোভাব নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদন করবে। চুক্তি ব্যাবস্থাপনায় পেট্রোবাংলার প্ৰাক্তন অভিজ্ঞ পেশাদারদের কাজে লাগবে।