আজ আগুনের জন্মদিন

আজ সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা আগুনের জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। খান আসিফুর রহমান আগুন যিনি আগুন হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রখ্যাত বাংলাদেশী সঙ্গীতজ্ঞ ও চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান ও সঙ্গীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীন দম্পতির একমাত্র ছেলে। কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার সঙ্গীতজীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করেন। এখনো অনেক রাত চলচ্চিত্রে গানে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য তিনি বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয়ও করেন।

আগুনের সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ১৯৮৮ সালে ‘সাডেন’ ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে। সাডেন ব্যান্ড ও আগুনের একক অ্যালবাম ওগো প্রেয়সীর গানগুলোর মধ্যে “বৈশাখী মেলা”, “উত্তাল সমুদ্র” ও “ভালোবাসি” শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি ১৯৯২ সালে সাডেন ব্যান্ড ত্যাগ করেন। ১৯৯২ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের গান গাওয়ার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক হয়। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটিতে তার গাওয়া গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন আলম খান। পরে তিনি সত্য সাহা, আনোয়ার পারভেজ, আলাউদ্দিন আলী, আলী হোসেন, আবু তাহের, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলদের মতো প্রথিতযশা সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকদের সুরকৃত গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি এখনো অনেক রাত চলচ্চিত্রে “ও আমার জন্মভূমি” গানের জন্য বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে তিনি জীবনের অদ্ভুত প্রেম চলচ্চিত্রের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন।

চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি ১৫টি অ্যালবামেও কণ্ঠ দিয়েছেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত অ্যালবামের গানে কণ্ঠ দিলেও পরে তিনি তা কমিয়ে দেন। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় তার ১৩তম গানের অ্যালবাম কি যে কান্না পেয়েছিল। দুই বছর বিরতির পর ২০১৩ সালে তিনি প্রথম রবীন্দ্র সঙ্গীত-এর অ্যালবাম এই কথাটি মনে রেখ প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামের সঙ্গীত আয়োজন করেন পার্থ মজুমদার। পরে দীর্ঘ তিনি বছর বিরতির পর ২০১৬ সালে প্রকাশ করেন তার ১৫তম অ্যালবাম কাঁচের দেয়াল। সঙ্গীতা থেকে প্রকাশিত গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন রেজওয়ান শেখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 − 1 =