আজ প্রাচ্যনাটের ‘অচলায়তন’

প্রাচ্যনাটের প্রশংসিত নাটক ‘অচলায়তন’ সবশেষ মঞ্চস্থ হয়েছিল গত ৭ জুন। আবারও মঞ্চে আসছে নাটকটি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূলমঞ্চে দেখা যাবে প্রাচ্যনাটের ৪২তম এই প্রযোজনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।

অচলায়তনের গল্পে দেখা যাবে, বহুদিন ধরে চলে আসা প্রথাকে কঠোর নিয়মের আবদ্ধে পালন করতে গিয়ে সময়ের আবর্তনে অচলায়তন বিদ্যায়তনের কোনো পরিবর্তন হয় না। এখানকার বিদ্যার্থীরাও কোনো প্রশ্ন ছাড়াই তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবতীয় নিয়ম ও অনুশাসন মেনে চলে। এই বিদ্যায়তনের দুই শিক্ষার্থী পঞ্চক ও মহাপঞ্চক। আপন ভাই হলেও তাদের জীবনদর্শন বিপরীত। পঞ্চক বিদ্রোহী মনোভাবসম্পন্ন, সে সব গতানুগতিকতাকে প্রশ্ন করে এবং অচলায়তনের নিয়মতান্ত্রিকতার ত্রুটিসমূহকে চিহ্নিত করে।

অপরদিকে মহাপঞ্চক গতানুগতিক চিন্তাপ্রবাহে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে এবং বিদ্যায়তনের সব নিয়মকেই বিনা প্রশ্নে অনুসরণ করে। এরই মধ্যে প্রেক্ষাপটে উপস্থিত হয় গুরু বা দাদাঠাকুর। বাইরের বাস্তবজগৎ ও সেই জগতের মানুষের সঙ্গে অচলায়তনের বিদ্যার্থীদের পরিচয় ঘটে প্রায় যুদ্ধের ডামাডোলের ভেতর। পুরোনো চিন্তার প্রাচীন দেয়াল ভেঙে পড়ে, শুরু হয় নতুনের স্পন্দন।

নির্দেশক বলেন, ‘অচলায়তন বিদ্যাপীঠকে আমরা কল্পনা করেছি, একটি নারী শিক্ষাগৃহ হিসেবে। নারীকে কুসংস্কার আর নানা বিধিনিষেধের মধ্যে আটকে রাখার ষড়যন্ত্র এখনো বিদ্যমান। কখনো কখনো সেই ষড়যন্ত্রে নারী নিজেও যেন প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। দৃশ্যমান দুই বিপরীত গতির সম্মিলন ঘটানোর চেষ্টা আছে এ প্রযোজনায়।’

অচলায়তন নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন সানজিদা প্রীতি, শাহানা রহমান সুমি, শাহেদ আলী, ফরহাদ হামিদ, জাহাঙ্গীর আলম, প্রদুত কুমার ঘোষ, চেতনা রহমান ভাষা প্রমুখ। মঞ্চ ও আলোয় সাইফুল ইসলাম, সংগীত ভাবনায় নীল কামরুল, কোরিওগ্রাফি স্নাতা শাহরিন ও পোশাক পরিকল্পনায় আফসান আনোয়ার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − 14 =