সালেক সুফী
আজ ইংরেজি বর্ষ পঞ্জির ১১ম মাসের ১১তম দিন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার অপূর্ব সুযোগ এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সামনে। আফগানিস্তানের ঘরের দূরের ঘর সংযুক্ত আরব এমিরেটসের শারজায় আজ ওডিআই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি জিতে নিলেই ২-১ ম্যাচে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে দুটি দলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় কাজটি কঠিন মনে হলেও অসম্ভব মোটেও নয়। প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে হারের পর ভালো খেলে দ্বিতীয় ম্যাচ ৬৮ রানে জিতে নিজেদের ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেদের খেলাটি ঠিকঠাক খেলতে পারলে বাংলাদেশ জয় পাবে সেই বিশ্বাস রাখা যেতেই পারে।
তবে টস এই উইকেটে অনেকটা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। এই উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিন ধরে, বল পুরোনো হয়ে গেলে রান তাড়া করা কঠিন হয়ে যায়। প্রায় সমান শক্তির দুই দলের যে দল টস জয় করে প্রথম ব্যাটিং করে ২৩০-২৪০ রান করবে জয়ের সম্ভাবনা তাদের বেশি থাকবে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু থেকেই পজিটিভ মনোভাব নিয়ে ব্যাটিং করেছে। তবে তরুণ তানজিদ তামিম দুরন্ত সূচনার পর নিজেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে খেলতে পারলে ভালো হত। আমি সৌম্যর ব্যাটিংয়ে শুভ পরিবর্তন দেখছি। অস্থির ভাবটা কেটে যাচ্ছে। আরো একটু স্থির হয়ে ৩০-৪০ স্কোরকে ৬০-৭০ নিয়ে গেলে দল উপকৃত হবে। শান্ত কিন্তু নিজেকে ফিরে পেয়েছে। মিরাজ নিজেকে ব্যাট হাতেও মেলে ধরছে। আজ কিন্তু রিয়াদের একটা রিয়াদসুলভ ইনিংস পাওনা হয়ে গেছে। আবারো বলছি বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিং করলে ২৪০-২৫০ রান করতে হবে। জানিনা এই উইকেটে আরো একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে খেলানো সঠিক হবে কিনা। যদি আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং করে স্কোর ২০০র নিচে সীমিত রাখতে চেষ্টা করতে হবে। দুই ম্যাচে ব্যর্থ রামানুল্লাহ গুরবাজ কিন্তু আজ বিধ্বংসী কিছু করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে। গুরবাজকে শুরুতে ফেরাতেই হবে বাংলাদেশের পেসারদের। তরুণ অতল তাহলেই চাপে পড়বে। দ্বিতীয় ম্যাচে তুখোড় ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশ। সেই ধারা বজায় থাকলে এবং লেট অর্ডারে জাকের আলী অনিক স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে আজ বাংলাদেশ ম্যাচ এবং সিরিজ জিতে নিবে বলে ভরসা রাখছি। কিন্তু কাজটি সহজ হবে না।