সালেক সুফী: আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ দীর্য ৮ বছর পর পিসিবির আয়োজনে পাকিস্তান নিউজিলণ্ড ক্রিকেট দলের মধ্যে খেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। স্মরণে আছে ২০১৭ সর্বশেষ বারের মত বসেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। পাকিস্তান সেই টুর্নামেন্টে ফখর জামানের দুর্দান্ত শতরান এবং মোহাম্মদ আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ের কারণে জিতেছিল শিরোপা। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ছাড়া একই গ্রূপে থাকা ভারত এবং বাংলাদেশ আগামী কাল মুখোমুখি হবে সংযুক্ত আরব এমিরেটসের দুবাইতে। টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসাবে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা তিন জাতির টুর্নামেন্ট খেলেছে। সেই টুর্নামেন্টে নিউজিলণ্ড পাকিস্তানকে দুইবার এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে একবার হারিয়ে দাপটের সঙ্গে শিরোপা জিতেছে। অনেকের হয়তো স্মরণে আছে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমী ফাইনাল খেলেছিল। সময় পাল্টে গাছে। বাংলাদেশ দল ওডিআই ফরম্যাটে এখন খুব একটা সমীহ জাগানো দল বলা যাবে না. বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে কাল লিখেছি। আজ দেখি পাকিস্তান নিউজিল্যান্ড কোন দল কেমন করতে পারে টুর্নামেন্টে ?
স্বাগতিক দল হলেও পাকিস্তান কিন্তু দেশের মাটিতে খুব স্বাচ্ছন্দ বা ধারাবাহিক নয়। তিন জাতির প্রস্তুতিমূলক সিরিজটাই দেখুন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রান্তিক দলের বিরুদ্ধে ৩৫৪ বিশাল স্কোর তাড়া করলে জিতলো পাকিস্তান। আবার সেই দলটিই দুইবার পরাজিত হলো নিউজিলণ্ড দলের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানকে বলা হয় এই বৃষ্টি এইরোদের দল। টিক যেন ক্রিকেটের গৌরবোজ্জ্বল অনিশ্চয়তার প্রতীক। ফকর জামান, বাবর আজম ,রিজওয়ান ছাড়া ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা ভরসা করা যায় না। ফকর বেশ কিছু দিন পর ক্রিকেটে ফিরেছে, বাবর কিন্তু দীর্ঘ দিন নিজের ছায়া হয়েই খেলছে। রিজওয়ান আছে তুখোড় ফর্মে। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে ভরসা সালমান আগা। খুশদিল শাহ নিউ জিল্যান্ডের উঁচু মানের পেস স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সাফল্য পাবে কিনা সন্দেহ আছে। পাকিস্তান দলে কিন্তু বিশ্ব মানের স্পিনার বা মানসম্পন্ন অল রাউন্ডার নাই। বোলিং অনেকটা শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ নির্ভর। তবুও দলটির নাম যখন পাকিস্তান তাই কখন জলে উঠে প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে বোঝা ভার। তবে এতটুকু বলা যায় আজ পাকিস্তান নিউজিলান্ডের মধ্যে খেলার বিজয়ী দল সেমী ফাইনাল খেলার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
নিউজিলণ্ড দল কিন্তু ব্যাটিং বোলিংয়ে ভারসাম্যপূর্ণ একটি পরিণত দল। আছে ডিভন কোনওয়ে ,ড্যারিল মিচেল ,রাচীন রবীন্দ্রা ,গ্লেন ফিলিপসের মত উচ্ছল প্রাণবন্ত ব্যাটসম্যান ,কেন উইলিয়ামসের মত বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। এমনকি দলনায়ক মিচেল সান্তনার বোলিংয়ের পাশাপাশি লেট্ অর্ডারে তুখোড় ব্যাটসম্যান। ওদের দুই কিংবদন্তি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট বা টিম সউদী না থাকলেও পেস বোলিং অথবা স্পিন যথেষ্ট সমৃদ্ধ। এইতো কিছুদিন আগে ভারতে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ওদের ধবল ধোলাই করেছে। দলের সবচেয়ে সুবিধা ব্যাটসম্যানরা অনেকেই কবি বেশি বোলিং করে। অধিনায়ক সান্টনারের হাতে অনেক বিকল্প আছে। আজ ম্যাচে আমার বাজির ঘোড়া নিউজিলণ্ড। তবে পাকিস্তানকে নিয়ে ১০০% নিশ্চিত করে কিছু বলা ঝুঁকি পূর্ণ। একটি জম জমাট হাই স্কোরিং লড়াই দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বলা যেতে পারে।