আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ-এর জন্মদিন। ১৯৬৩ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বজিৎ। বাংলা আধুনিক কিংবা চলচ্চিত্রের গানে দীর্ঘ চার দশক ধরে কণ্ঠ দিচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন মধুমাখা কণ্ঠের এ গায়ক।
এবারের জন্মদিন তার জন্য কিছুটা বিষাদময়। কারণ, একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার প্রায় ৫ মাস ধরে কানাডার টরেন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অথচ প্রতিবছর জন্মদিনে বাবাকে চমকে দিতেন ছেলে। ছেলের জন্য কষ্টে দিন কাটছে তার। তাই এবারের জন্মদিনে একমাত্র ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া, ভালোবাসা ও প্রার্থনা চেয়েছেন তিনি।
মূলত ব্যান্ড মিউজিক দিয়ে চট্টগ্রামে কুমার বিশ্বজিতের পথচলা শুরু। তবে ঢাকায় এসে থিতু হন একক ক্যারিয়ারে। তার উত্থান হয়েছিল ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটি দিয়ে। যেটা এখনও মানুষের মুখে মুখে। দীর্ঘ চার দশক ধরে তিনি সংগীতাঙ্গনে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।
এখনও স্টেজ শো’তে তার কদর চড়া। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের পাশাপাশি অর্জন করেছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার কয়েকটি গান হলো- ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘ও ডাক্তার’, ‘তুমি যদি বলো’, ‘চন্দনা গো’, ‘তুমি রোজ বিকেলে’, ‘ছোট গল্প’, ‘একতারা বাজাইও না’ ইত্যাদি।
ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল কুমার বিশ্বজিতের। সেই আগ্রহটাকে স্বপ্ন-সাধনা বানিয়ে নেমে যান সঙ্গীত যুদ্ধে। যা তাকে এনে দিয়েছে দেশজোড়া খ্যাতি। সঙ্গীত জীবনে তিনি অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। বাংলাদেশের নামকরা প্রায় সব সঙ্গীত পরিচালকের সাথে তিনি কাজ করেছেন।
১৯৭৭ সালে একটি রেডিও অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার মাধ্যমে সুরের ভুবনে পা রাখেন কুমার বিশ্বজিৎ। এরপর তিনি ‘রিদম ৭৭’ নামে একটি ব্যান্ডে দুই বছর গান করেন। তারপর ১৯৭৯ সালে নিজেই ‘ফিলিংস’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে কুমার বিশ্বজিৎ প্রথম গান করেছিলেন ১৯৮০ সালে।
সিনেমা ও অডিও দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ৩০টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বহু মিক্সড অ্যালবাম ও সিনেমায় গান করেছেন। সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে কুমার বিশ্বজিৎ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।