আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসের জামিন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার  সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার ৬ মাসের দণ্ড দিয়ে রায় বাতিল ও সাজা থেকে খালাস দিতে ২৫ যুক্তিতে আপিল আবেদন করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তাদের আইনজীবী।

ড. ইউনূস অভিযোগ করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সরকারের প্রতিষ্ঠান, তাদের দিয়ে মামলা করিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে  বলা হচ্ছে, মামলা করেছেন শ্রমিকরা, যা সঠিক নয়।

এদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী বলছেন, সরকারের ইশারায় নয় বরং শ্রম আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে পহেলা জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমদের শ্রমিকদের স্থায়ী না করা, ছুটি নগদায়ন না করা ও ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দেয়ার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শ্রম আইনের দুই ধারায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সহ চারজনকে সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে শ্রম আদালত।

রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়।

শ্রম আইনের ৩০৩ ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। অন্যদিকে, ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বতন্ত্র এমপিদের বৈঠক সন্ধ্যায়প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বতন্ত্র এমপিদের বৈঠক সন্ধ্যায়

চলতি বছরের শুরুর দিন ১ জানুয়ারি রায়ের জন্য ধার্য দিনে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন।

একাত্তর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nineteen + 7 =