আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে ১৪০০ জনের বেশি মৃত্যু

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে দুই দিন আগের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০০ জনে। এর মধ্যেই পূর্ব আফগানিস্তানে পাঁচ দশমিক দুই মাত্রার একটি নতুন আফটারশক আঘাত হেনেছে। ওই ভূমিকম্পে আহত হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষ। খবর বিবিসি।

রোববারের ওই ছয় মাত্রার ভূমিকম্পের পর ভূমিধ্বসের কারণে উদ্ধার তৎপরতা জটিল হয়ে পড়েছে। কেননা এর ফলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে স্থলপথে চলাচল কঠিন করে তুলেছে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর ধ্বংসাবশেষের নিচে বেঁচে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার নিয়োজিত রয়েছে।

অনেকেই ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেবলমাত্র রাশিয়ার স্বীকৃতি দেওয়া তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ জরুরি তহবিল ঘোষণা করেছে, যুক্তরাজ্য এক মিলিয়ন পাউন্ড (এক দশমিক তিন মিলিয়ন ডলার) সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আফগানিস্তান সাধারণত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হলেও রোববারের ভূমিকম্পটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ২৯ মিনিটে (সাতটা ৫৯ জিএমটি) আফটারশকটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশের পঞ্চম বৃহত্তম শহর জালালাবাদ থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে। এটা ছিল অগভীর, মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

উত্তর-পূর্ব কুনার প্রদেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি সাওকাই। ওই জেলায় অবস্থানরত বিবিসির একজন প্রতিবেদক জানিয়েছেন তারা তীব্র কম্পন অনুভব করেছেন। তবে নতুন করে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কুনার প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে যারা বেঁচে আছেন তাদের হেলিকপ্টারে করে সেখান থেকে বের করে আনা হচ্ছে। এই প্রদেশেই বেশিরভাগ নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি তালেবান সূত্র জানিয়েছে, মাজার উপত্যকার একটি এলাকায় ভূমি এতোই দুর্গম ছিল যে তিনবার চেষ্টা করেও সেখানে অবতরণে ব্যর্থ হয়েছে একটি হেলিকপ্টার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

8 − 8 =