আবারও রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বেসরকারিভাবে দেওয়া ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের ফল অনুযায়ী, লিটন পেয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। বলে রাখা দরকার রাজশাহীতে গ্রীণ সিটি হিসাবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার কৃতৃত্ব দেখিয়েছন তিনি। নগরবাসীর বিপুল সমর্থনে এবারও দাপুটে জয় পেয়েছেন লিটন।

১৩ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী। এ ছাড়া জাকের পার্টি মনোনীত গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ১১ হাজার ৭১৩ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। রাজশাহীতে মোট ৫২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন হয়েছেন।

 

বুধবার (২১ জুন) বিকাল থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়াম থেকে এ ফল ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।

 

বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা শেষে বিজয়ীপ্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই এটা স্বাভাবিক। সেটা মেনে নিতে হবে। নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

 

এর আগে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১৫৫ কেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে চলে ভোট। ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটারের নগরীতে মোট ভোটার ছিলেন তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭, নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ ও তৃতীয় লিঙ্গের ছিলেন ছয় জন। এবার নতুন ভোটার ছিলেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন। এই নির্বাচনে ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১১ ও ১০টি সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর হিসেবে ৪৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর নগরীর ২০নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম।

 

এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পান ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। সেবার ভোট পড়ার হার ছিল ৮১.৬১ শতাংশ।

 

২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। ওই বছর ভোট পড়ে ৭৬.০৯ শতাংশ। এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 × 5 =