আমেরিকান র‍্যাপ শিল্পীর নাম ‘বাংলাদেশ’, দুইবার পেয়েছেন গ্র্যামি মনোনয়ন

শোন্ড্রে ক্রফোর্ড, প্রখ্যাত মার্কিন র‍্যাপার। জন্ম ১৯৭৫ সালের ১৩ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের দেস মোয়িনেস শহরে। ডক্টর ড্রে ও ডিজে কুইক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অল্প বয়স থেকেই সংগীত প্রযোজনা শুরু করেন তিনি। কিশোর বয়স থেকেই স্থানীয় র‍্যাপারদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন শোন্ড্রে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগসূত্র নেই, তবুও নিজের মঞ্চনাম ‘বাংলাদেশ’ রেখেছেন ক্রফোর্ড।

কর্মজীবন হিসেবে র‍্যাপ সংগীতকেই বেছে নেওয়ার পর শোন্ড্রে ক্রফোর্ড নিজের মঞ্চ নাম হিসেবে বেছে নেন ‘বাংলাদেশ’। তিনি তাঁর সংগীত প্রযোজনার ধরনকেও ‘বাংলাদেশ’ বলে উল্লেখ করেন। ‘বাংলাদেশ’ নামটি মার্কিনদের কাছে অপরিচিত বলেই এ নাম পছন্দ করেছেন বলে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন ক্রফোর্ড। নামটি সংগীত প্রযোজনায় তাঁর অনন্য এবং অভিনব পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি ক্রফোর্ডের।

তবে ক্রফোর্ড এ নামের অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেয়েছেন তা নিয়ে অনেক জল্পনা–কল্পনা রয়েছে। অনেকের ধারণা, তিনি বিভিন্ন সংগীত থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং নামটিকে তাঁর বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেছেন। অবশ্য তাঁর কিছু বাংলাদেশি বন্ধু আছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। এ ক্ষেত্রে এ নামের পেছনে ব্যক্তিগত কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও ধারণা করেন অনেকে।

শোন্ড্রে ক্রফোর্ডকে অনেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মনে করলেও তা সত্য নয়। এ নামের পেছনে নির্দিষ্ট কারণ কখনো খোলাসা করেননি তিনি। ২০০৩ সালে ‘বাংলাদেশ’ নামের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন এ র‍্যাপার।

সংগীত চর্চায় আরও ভালো সুযোগ–সুবিধার জন্য নব্বইয়ের দশকেই আটলান্টায় চলে আসেন শোন্ড্রে ক্রফোর্ড।

২০০৪ সালে লুডাক্রিসের একক সংগীতায়োজন ‘গেট ব্যাক’ প্রযোজনার মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসতে শুরু করেন। এ ছাড়া তিনি জনপ্রিয় পপ গায়িকা বিয়ন্সে, রিয়ান্না ও আশারের সঙ্গেও কাজ করেছেন। বিয়ন্সের অ্যালবাম ‘ডেঞ্জারাসলি ইন লাভ’–এর জন্য দুইবার গ্র্যামি মনোনয়নও পেয়েছেন তিনি।

শোন্ড্রে ২০১৫ সালে নিজের রেকর্ড লেবেল ‘বাংলাদেশ রেকর্ডস’ প্রতিষ্ঠা করেন।

ক্রফোর্ড বিভিন্ন ঘরানার শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। নিকি মিনাজ, ক্রিস ব্রাউন ও জাস্টিন বিবারের মতো তারকার সঙ্গেও জুড়েছে তাঁর নাম। বৈচিত্র্যময় কাজের জন্য তাঁকে তাঁর প্রজন্মের সবচেয়ে সফল ও প্রভাবশালী রেকর্ড প্রযোজকের একজনও বলা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × one =