দুই দেশ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতে প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সামনের পাকিস্তান সফর। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বিসিবি। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পাকিস্তান সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। সূচি অনুযায়ী, বুধবার সকালে আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার দুপুরে অনানুষ্ঠানিক সভা ডেকেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। দীর্ঘ বৈঠকের পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।
“বাংলাদেশের দলের আসন্ন পাকিস্তান সফর নিয়ে পিসিবির সঙ্গে সক্রিয় আলোচনা চলমান। বিসিবি পুনরায় নিশ্চিত করছে ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বোর্ডের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
“পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে সামনের সফর সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যাতে তা দলের এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোত্তম স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।”
সূচি অনুযায়ী, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আগামী ১৭ ও ১৯ মে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ২১ মে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা লিটন কুমার দাস, শেখ মেহেদি হাসানদের।
তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। জরুরি সভায় থাকা বিসিবির এক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাওয়ার পর সামনের সিরিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
একই দিন বিকেলে মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ- ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিভা অন্বেষণের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফরে নিরুৎসাহিত করেন তিনি।
“আমি যত দূর জানি, বিসিবির বৈঠক চলছে। বিসিবি এই বিষয়ে জানাবে। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি, এর মধ্যে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। পাকিস্তান অ্যাম্বাসি থেকেও আমাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি জানিয়েছে। বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা জানাবে।”