শাহরুখ খানের ছেলে মাদক-কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর হল না। থাকতে হবে এনসিবি-র হেফাজতেই। এনসিবির আইনজীবীরা দাবি করেন, আরিয়ানের ফোন থেকে প্রামাণ্য নথি পাওয়া গিয়েছে। যে কারণে তদন্তের স্বার্থে তাদের হেফাজতে আরিয়ানকে রাখা প্রয়োজন।
শনিবার রাতে আটক হয়েছিলেন। এনসিবি-র দপ্তরে মাদকযোগ নিয়ে ১৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর রবিবার বিকেলে আরিয়ান, মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্টকে গ্রেপ্তারর করা হয়। আদালত জানিয়ে দিল, আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে নিজেদের হেফাজতে রাখবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
আরিয়ানকে সোমবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার পরেই তার হয়ে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। শাহরুখ খান তার ছেলের জন্য সতীশকে নিয়োগ করেছিলেন।
নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হন তিন জন। আরিয়ানের পরোয়ানায় লেখা রয়েছে, ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১,৩৩,০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর টার্মিনালে।
বলা হয়েছিল, এক দিনের জন্য আরিয়ানকে এনসিবি-র হেফাজতে রাখা হবে। কিন্তু সোমবার সকালে জানা যায়, আদালতের কাছে শাহরুখ-পুত্রকে আরও কয়েক দিন হেফাজতে রাখার অনুমতি চাইতে পারে এনসিবি। কারণ হিসেবে বলা হয়, মুম্বইয়ের মাদক নিয়ে তদন্তে আরও কিছু তথ্যের জন্য আরিয়ানকে আরও কিছু দিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে হবে। সেই জন্য এনসিবি ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানকে নিজেদের হেফাজতে রাখবে।
আনন্দবাজার