বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি নেই, আছে তার সুরের ভূবন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সঙ্গীতে অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
আজ (২২ জানুয়ারি) গুণী এই মানুষটির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন তিনি। রেখে গেছেন অজস্র জনপ্রিয় গান। অনেকেই আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করছেন।
বাংলাদেশের খ্যাতমানা গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি ৬৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
সত্তরের দশকের শেষদিকে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে সিনেমায় কাজ শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনশোরও বেশি সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। দু’বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রথমটি ‘প্রেমের তাজমহল’ এবং দ্বিতীয়টি ‘হাজার বছর ধরে’ ছবির জন্য। ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ গানগুলো বাংলাদেশ ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। যতদিন বাংলা গান থাকবে তত দিনই গানের সুরে বেঁচে থাকবেন সুরের পাখি বুলবুল।