বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি আজ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটের ফ্লাইট উদ্বোধন করেছেন। ঢাকার স্থানীয় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। খবর বাসস
উল্লেখ্য, ১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই ফ্লাইট সপ্তাহের প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে জেদ্দায় পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য জনগণকে উন্নত সেবা ও সঠিক মূল্যে সেবা দেওয়া। আমরা এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নিতে সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করবো, তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। সঙ্গে যাত্রী সেবাও নিশ্চিত করবো।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের এভিয়েশন শিল্পে নিরব বিপ্লব ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ের শক্তি ও দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। তবে আমাদের আরো অনেক কাজ করার আছে। এভিয়েশন শিল্প টেকনোলজি বেইজড শিল্প। এখানে কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করতে হয়।
দেশের সব এয়ারলাইন্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে আন্দোলনের সময় দেশে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিটি এয়ারলাইন্স অপারেশন চালিয়েছে, যাত্রীদের সেবা দিয়েছে এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি আগামীতেও তারা এ ধরনের সেবা দিয়ে যাবেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ সালে আমি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উদ্বোধন করেছিলাম, ‘আমিই আজ ঢাকা- জেদ্দা রুটের উদ্বোধন করছি, এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমি আশা করছি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের বহর আরও বড় করবে এবং আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণ করে আরও এগিয়ে যাবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সভাপতি ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ কামরুল ইসলাম, ইউএস-বাংলার এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ( সিইও) লুৎফর রহমানসহ আটাব, টোয়াব ও হাবের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ।