ইতালিয়ান কাপের শিরোপা ধরে রাখলো ইন্টার

পিছিয়ে পড়েও লটারো মার্টিনেজের দুই গোলে ফিওরেন্টিনাকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে ইতালিয়ান কাপের শিরোপা ধরে রেখেছে ইন্টার মিলান।স্তাদিও অলিম্পিকোতে নিকোলাস গঞ্জালেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ফিওরেন্টিনা। কিন্তু বিরতির আগেই দুই গোল করে সিমোনে ইনজাগির দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মার্টিনেজ।

এনিয়ে রোমার সাথে ইতালিয়ান কাপের নবম শিরোপা জয় করার কৃতিত্ব দেখালো ইন্টার। ১৪টি শিরোপা জিতে তাদের থেকে এই তালিকায় শুধুমাত্র এগিয়ে আছে জুভেন্টাস।

২০২১ সালে সিরি-এ  এবং গত বছর ইতালিয়ান জয়ী দলের সদস্য মার্টিনেজ ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি সত্যিই দারুন খুশী। কারন গত দুই বছর যাবত অসাধারণ এই ক্লাবের হয়ে আমি শিরোপা জিতে চলেছি। এভাবেই আমাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আরো একটি শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। প্রথম ১৫ মিনিট আমরা বাজে খেলেছি। কিন্তু এরপর ছন্দ ফিরে পাই।’

ছয়বারের বিজয়ী ফিওরেন্টিনা ২০০১ সালের পর কোন শিরোপা জয় করতে পারেনি। কিন্তু তাদের সামনে এখনো সুযোগ আছে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের শিরোপা জয়ের। আগামী ৭ জুন ফাইনালে প্রাগে তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট হ্যাম। এর তিনদিন পর ইস্তাম্বুলে  চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে প্রিমিয়ার লিগ বিজয়ী ম্যানচেস্টার সিটি।

ফিওরেন্টিনা কোচ ভিনসেনজো ইতালিয়ানো বলেছেন, ‘প্রাগের ম্যাচের আগে নিজেদের উজ্জীবিত করে তুলতে হবে। সেখানে যাবার আগে নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে, শিরোপার বিকল্প নেই।’

প্রথম ক্লাব হিসেবে চারটি ভিন্ন ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনলে পৌঁছানের কৃতিত্ব দেখিয়েছে ফিওরেন্টিনা। কাল রোমে তিন মিনিটের মধ্যে জোনাথন ইকোনের ক্রসে গঞ্জালেজের গোলে তাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। সোফিয়ান আমরাবাতের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে না গেলে তখনই হয়তো ব্যবধান দ্বিগুন হতে পারতো। মার্টিনেজের এ্যাসিস্টে ইন্টার স্ট্রাইকার এডিন জেকো গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।

২৯ মিনিটে অবশ্য কোন ভুল করেননি আর্জেন্টাইন্ট ফরোয়ার্ড মার্টিনেজ। ফিওরেন্টিনা গোলরক্ষক পিয়েট্রো টেরাসিয়ানোর কোনাকুনি লো শটে পরাস্ত করে ইন্টারের জার্সি গায়ে শততম গোল পূরন করেন। আট মিনিট পর ডানদিক থেকে নিকোলো বারেলার পাসে নিজের দ্বিতীয় গোলের পাশাপাশি দলকে এগিয়ে দেন মার্টিনেজ।

ফিওরেন্টিনার হয়ে বদলী খেলোয়াড় লুকা জোভিচ ম্যাচের শেষভাগে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। সার্বিয়ান এই স্ট্রাইকারের প্রথম সুযোগটি দারুনভাবে রুখে দেন ইন্টারের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক সামির হানডানোভিচ। এরপর তার আরো একটি সুযোগ অল্পের জন্য গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। অতিরিক্ত সময়ে গঞ্জালেজ তার দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে তার প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হয়।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × five =