ইয়াসমিন রূপে পর্দায় তুলে আনব নির্মম সত্য

বিদ্যা সিনহা মিম। নন্দিত অভিনেত্রী ও মডেল। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এবার ওয়েব দুনিয়ায় পা রেখেছেন তিনি। সম্প্রতি শেষ করেছেন অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী একটি ওয়েব সিরিজের কাজ। এই সিরিজ, এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে—

সিনেমার পাশাপাশি এবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। এখন থেকে ওটিটির আয়োজনে নিয়মিত দেখা যাবে কি?

যে ধরনের কাজ করতে চাই, সেটা যদি সিরিজ বা ওয়েব ছবির গল্পে, চরিত্রে খুঁজে পাই তাহলে ওটিটিতে নিয়মিত দেখা যাবে। সবকিছুর পর আসলে ভালো কাজই মানুষের মনে গেঁথে যায়। তাই মাধ্যম যেটাই হোক, সেখানে কী করছি, কেমন করছি— সেটাই আসল।

‘মিশন হান্টডাউন’ ওয়েব সিরিজের গল্পে ও চরিত্রে এমন কী আছে, যা আপনাকে ওয়েব দুনিয়ায় টেনে নিয়ে গেছে?

‘মিশন হান্টডাউন’ অ্যাকশন ও থ্রিলারধর্মী গল্পের সিরিজ। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হৈচৈয়ের জন্য সিরিজটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন পরিচালক সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ। সিরিজে নীরা নামের এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। নীরা সাধারণ হলেও তাঁর ব্যক্তিজীবন নানা জটিলতায় আচ্ছন্ন। এই যে নতুন এক চরিত্র, নতুন গল্প— এটাই আমাকে ওয়েব সিরিজের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখার পেছনে আরেকটি কারণ হলো, দর্শকের কাছে দিন দিন ওয়েব সিরিজ আর ওয়েব ছবির প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়া। বড় বাজেটে এই মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। নিরীক্ষাধর্মী সৃষ্টিও তুলে ধরছেন অনেকে। এসব দেখাই এই মাধ্যমে কাজ করার আগ্রহ হয়েছে। তা ছাড়া আমি তো টিভিতেও অনেক কাজ করেছি; এখনও করি। তাই দর্শক প্রত্যাশা পূরণে এবার ওটিটিকে বেছে নিয়েছি। তবে সব কিছুর পরও সিনেমাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।

ওটিটির কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠার কারণেই কী সিনেমায় এখন কম দেখা যাচ্ছে?

সিনেমার সংখ্যাই তো কম। তারপরও আমি চাইছি, স্রোতে গা না ভাসিয়ে ভিন্ন ধরনের গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে। যে জন্য কাজের বাছবিচার আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। ‘পরাণ” আর ‘দামাল’ ছবির সাফল্য থেকে এটাই বুঝেছি, এখনকার দর্শক পর্দায় কী দেখতে চান। এ জন্য কলকাতার ‘মানুষ’ ছবি ছাড়া এর মধ্যে আর কোনো কাজ করিনি। পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দারের এই ছবির সুবাদে আরও একবার জিতের বিপরীতে কাজ করা হলো।

আজকাল বাস্তব ঘটনার গল্পের ছবিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে শোনা যায়। কথাটা কতটা সত্যি?

এটা সত্যি, ‘পরাণ’ ছবির গল্পে যে বাস্তব ঘটনার ছায়া আছে, তা অনেকের মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। যে জন্য আমিও চাই, এমন আর কিছু গল্পে কাজ করতে। কিন্তু ঘটনা যতই করুণ, রোমহর্ষক হোক না কেন, চিত্রনাট্য এবং নির্মাণ পরিকল্পনাও ভালো হতে হবে। নইলে মনে আঁচড় কাটার মতো ঘটনাও ফিকে মনে হবে।

অভিনয়ের নিজস্ব ভাবনা থেকেই কি ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’ ছবিটি বেছে নেওয়া?

অনেকটা তাই। দিনাজপুরের ইয়াসমিনের নির্যাতিত হওয়া আর তাঁর করুণ মৃত্যু অনেকের মনে দাগ কেটেছে। তাই এই ঘটনা নিয়ে সিনেমা নির্মাণ আর নামভূমিকায় অভিনয় প্রস্তাব পাওয়া স্বপ্ন পূরণের মতো। তাই এবার ইয়াসমিন রূপে পর্দায় তুলে আনব নির্মম সত্য। দুই বছর সময় নিয়ে লেখা হয়েছে ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’র চিত্রনাট্য। পরিচালক সুমন ধরের নির্মাণ পরিকল্পনাও সময়োপযোগী। তাই সব মিলিয়ে এটি ক্যারিয়ারের আরেকটি অনবদ্য কাজ হবে বলেই আশা করছি।

সমকাল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

2 × three =