ঈদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ‘কাজলরেখা’

৪০০ বছরের পুরোনো মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ পালা অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বানিয়েছেন নতুন সিনেমা ‘কাজলরেখা’। রোজার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে সরকারি অনুদানের সিনেমাটি। মুক্তি উপলক্ষে গত শনিবার রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই নির্মাতা জানান, ঈদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত কাজলরেখা। শুধু দেশেই নয়, একসঙ্গে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে পশ্চিমবঙ্গ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায়।

নির্মাতা জানিয়েছেন, ৪০০ বছর আগের সময়টা পর্দায় ফুটিয়ে তোলা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তাই প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছিলেন শুটিংয়ে। শুরুটা হয়েছিল ২০০৯ সালে। দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণা, গীত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য রচনা, লোকেশন নির্বাচন, সেট নির্মাণ ইত্যাদি শেষে ২০২২ সালে শুরু হয় শুটিং। গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘সিনেমাটি নির্মাণের জন্য এর প্রতিটি সেক্টরকে এক সুতোয় একটি মালা হিসেবে গাঁথতে হয়েছে আমায়। ধাপে ধাপে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’

ঈদে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে নির্মাতা বলেন, ‘বড় আয়োজনে নির্মিত হয়েছে কাজলরেখা। তাই, ঈদ ও বৈশাখের মতো উৎসবের সময় মুক্তি দেওয়া উচিত বলে মনে হয়েছে। এ সময় অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পাবে। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকা ইতিবাচক দিক। যে সিনেমার দম থাকবে সেই সিনেমাই মানুষ দেখবে।’

কাজলরেখা সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। কাজলরেখার কিশোরী বয়সের চরিত্রটি করেছেন সাদিয়া আয়মান। দুজনেরই বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে এই সিনেমা দিয়ে। সুচরাজা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ। এ ছাড়া কঙ্কণদাসী চরিত্রে আছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, ইরেশ যাকের, খায়রুল বাসার, শাহানা সুমি, ইরফান সেলিম সুজয় প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে শরিফুল রাজ বলেন, ‘অনেক প্রস্তুতি নিয়েই শুটিং শুরু করেছি। সেট, পোশাক, গান এই সিনেমার সবকিছু নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয়েছে। আমরা সবাই চেষ্টা করেছি মৈমনসিংহ গীতিকাকে সিনেম্যাটিকভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার।’

মন্দিরা চক্রবর্তী বলেন, ‘কাজলরেখা ৪০০ বছর আগের রূপকথার গল্প। খুব ইন্টারেস্টিং গল্প। অনেকেরই হয়তো গল্পটি জানা। সবাইকে হলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করব। কারণ গল্প শোনা আর পর্দায় দেখা একেবারেই ভিন্ন বিষয়। আমার বিশ্বাস, সবার ভালো লাগবে সিনেমাটি।’

কাজলরেখাকে বলা হচ্ছে মিউজিক্যাল ফিল্ম। ২০টির বেশি গান থাকছে এতে। সংগীত পরিচালনায় ইমন চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

12 + thirteen =