উইন্ডোজ ১১ আসছে অক্টোবর থেকেই

অক্টোবরের শুরু থেকেই ব্যবহারকারীদেরকে উইন্ডোজ ১১ দেওয়া শুরু করবে মাইক্রোসফট। ফ্রি আপগ্রেড হিসেবেই উইন্ডোজ ১০ পিসিতে আপডেট করে নেওয়া যাবে এটি। আবার চাইলে উইন্ডোজ ১১ প্রি-লোডেড হার্ডওয়্যারও কিনে নিতে পারবেন আগ্রহীরা।

সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ বিপণণ মহাব্যবস্থাপক অ্যারন উডম্যান জানান, অক্টোবরের পাঁচ থেকেই আসছে উইন্ডোজ ১১। তিনি বলেন, “উইন্ডোজ ১০ থেকে অসাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করে, আমরা আপনাকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ভালো অভিজ্ঞতাটি দিতে চাই। সব উপযোগী ডিভাইসে উইন্ডোজ ১১ আপগ্রেড ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময় নাগাদ চলে আসবে।”

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, বিদ্যমান উইন্ডোজ ১০ পিসিতে উইন্ডোজ ১১ আপডেট এসেছে কি না তা উইন্ডোজ আপডেট নিজে থেকেই ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেবে। আবার ব্যবহারকারীরা চাইলে মাইক্রোসফটের নিবেদিত পিসি হেলথ চেক অ্যাপের মাধ্যমে নিজ ডিভাইস উইন্ডোজ ১১ আপডেটের উপযোগী কি না তা-ও জেনে নিতে পারবেন।

অক্টোবরের পাঁচ তারিখে উইন্ডোজ ১১ আসা শুরু করলেও, পূর্বঘোষিত সব ফিচার পাওয়া যাবে না। যেমন, অ্যামাজন ও ইনটেলের সঙ্গে জোট বেঁধে উইন্ডোজ ১১-তে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস আনছে মাইক্রোসফট। কিন্তু ফিচারটি অক্টোবর পাঁচ থেকে পাওয়া যাবে না। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ এর আগে এটি আসবে না। তবে, আগামী মাসগুলোতে ফিচারটির প্রিভিউ প্রকাশিত হবে উইন্ডোজ ইনসাইডারে।

উইন্ডোজ ১১ এর জন্য সিস্টেম রিকয়ারমেন্ট কী হতে পারে, তা গত সপ্তাহে পরিষ্কার করেছে মাইক্রোসফট। যাদের সে সক্ষমতা নেই, তারা কীভাবে উইন্ডোজ ১১ পেতে পারেন, সে পথও বাতলে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিকল্প পথে দুই বা তার বেশি ৬৪ বিটের এক গিগাহার্টজ প্রসেসরের প্রয়োজন পড়বে, র‌্যাম থাকতে হবে চার গিগাবাইট। স্টোরেজ থাকতে হবে ৬৪ গিগাবাইট এবং টিপিএম ১.২ চিপ হতে হবে। এরপর আইএসও প্রক্রিয়ায় উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করে নেওয়া যাবে।

কিন্তু এভাবে উইন্ডোজ ১১ নিলেও সমর্থন মিলবে না বলে জানিয়ে রেখেছে মাইক্রোসফট।

পিসি উইন্ডোজ ১১ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও আপাতত সমস্যা নেই। কারণ ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন অব্যাহত রাখবে মাইক্রোসফট।

বিডিনিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen − 6 =