উনষাটে নগর বাউল জেমস

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নগর বাউল জেমসের ৫৯তম জন্মদিন আজ। এই রকস্টারের জন্ম ১৯৬৪ সালে নওগাঁয়, বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে। তাঁর পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নগর বাউল জেমস নামেই তাঁর অধিক পরিচিতি।

পরিবারের দ্বিমতে সংগীতচর্চা শুরু করেন জেমস। সংগীতের জন্য তিনি ছাড়েন ঘর। এভাবেই সংগীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু হয় তাঁর। ১৯৮০ সালে জেমস প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। সাত বছর পর এই ব্যান্ডের হয়ে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ করেন। এর কিছু গান দারুণ সাড়া পায়। পরের বছর ‘অনন্যা’ শীর্ষক একটি একক অ্যালবাম নিয়ে আসেন তিনি, যা তাঁকে সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করে।

এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ সালে ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়। এরপর ‘ফিলিংস’ ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড ‘দুষ্টু ছেলের দল’ এবং ‘বিজলি’ অ্যালবাম দুটির মধ্যেই আটকে যায়।

জেমসের উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টেশন রোড (১৯৮৭), জেল থেকে বলছি (১৯৯০), নগর বাউল (১৯৯৬), লেইস ফিতা লেইস (১৯৯৮), কালেকশন অব ফিলিংস (১৯৯৯), দুষ্টু ছেলের দল (২০০১) প্রভৃতি।

জেমসের গাওয়া একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে অনন্যা (১৯৮৮), পালাবি কোথায় (১৯৯৫), দুঃখিনী দুঃখ করো না (১৯৯৭), ঠিক আছে বন্ধু (১৯৯৯), আমি তোমাদেরই লোক (২০০৩), জনতা এক্সপ্রেস (২০০৫), তুফান (২০০৬), কাল যমুনা (২০০৯)।

২০০৫ সালে বলিউডে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তাঁর গাওয়া ‘ভিগি ভিগি’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় গানটি বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল।

২০০৬ সালে আবারও বলিউডের ছবিতে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তাঁর গাওয়া গান দুটি হলো রিশতে এবং আলবিদা। আর তাতেই বাজিমাত।

চলচ্চিত্রে সর্বশেষ এই শিল্পীকে ২০১৭ সালে ‘সত্ত্বা’ ছবিতে গাইতে দেখা যায়। এই ছবির ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ আমি’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং সেই বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

13 − 3 =