ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই বাংলাদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের চার বাংলাদেশি যাত্রীর খোঁজে তাদের পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনে।
শনিবার বিকালে হাই কমিশনের ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে এখন পর্যন্ত দুইজন বাংলাদেশি আহত হয়ে উড়িষ্যার দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
“এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আমাদের সঙ্গে চারজনের ব্যাপারে তাদের পরিবার যোগাযোগ করেছে যে- তারা ট্রেনের যাত্রী ছিলেন, তারা এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। আমরা চেষ্টা করছি তাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার।” তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই দুই বাংলাদেশির নাম-পরিচয় জানাননি তিনি।
ভিডিও বার্তায় আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, “গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সর্বশেষ আমরা যে খবর পেয়েছি তাতে ২৩৮ জন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন বলে আমরা জেনেছি। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের কেউ আছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য নেই।”
শনিবার ভোরে একটি টিম দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আশা করছি সড়ক পথে তারা (শনিবার) সন্ধ্যার মধ্যে সেখানে পৌঁছাবেন। ওই ট্রেনে বাংলাদেশি যাত্রী যারা ছিলেন, তাদের মঙ্গলের জন্য তারা কোঅর্ডিনেট করবেন।”
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে বাংলাদেশি যাত্রীদের বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন ডেপুটি হাই কমিশনার। হোয়াটসঅ্যাপে ওই নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানান তিনি।
উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়েছে এবং ৮৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। রাজ্যটির বালেশ্বর জেলার এ ঘটনা চলতি শতাব্দীতে হওয়া ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর ৩টার দিকে হাওড়ার নিকটবর্তী শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উড়িষ্যার বালেশ্বরে পৌঁছায়, আধ ঘণ্টা পর বাহানগা বাজারের কাছে ২৩ কামরার ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
বিডিনিউজ