একজন অভিনেতা শাহেদ আলী

মৌ সন্ধ্যা

শাহেদ আলী একজন দক্ষ অভিনেতা। মঞ্চ নাটক দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করলেও নাটক, ওয়েব সিরিজ, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন, রেডিও, চলচ্চিত্র সব মাধ্যমেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এখনো সমানতালে থিয়েটারও করছেন। বিজ্ঞাপনের ভয়েস ওভারও দেন নিয়মিত।

শাহেদ আলীর জন্ম পুরনো ঢাকার লক্ষ্মীবাজার। তাদের পৈত্রিক বাড়ি পুরান ঢাকার ঈশ্বর দাশ লেন। ১৭ আগস্ট তার জন্মদিন। এই দিনে বাবা শওকত আলী ও মা শামসুন্নাহারের ঘর আলোকিত করে পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি। কত বয়স হলো শাহেদের সে হিসেব থাক। রঙবেরঙের পক্ষ থেকে তার জন্য রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন শাহেদ আলী। এই অভিনেতার জীবনের গল্প নিয়ে এই আয়োজন। অনেক স্ট্রাগল করে আজকের শাহেদ হয়ে উঠেছেন তিনি। চলুন পাঠক জেনে নেওয়া যাক গুণী এই মানুষটি সম্পর্কে।

সুজন নামের সেই ছেলেটি

শাহেদ আলীর ডাকনাম সুজন। তার  শৈশব-কৈশোর কেটেছে পুরান ঢাকার ঈশ^র দাশ লেন। ছেলেবেলাটি অনেক রঙিন ছিল তার। টানা চোখ আর বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার ছেলেটিকে বাড়ির সবাই, মহল্লাবাসী ও কাছের বন্ধুরা সুজন বলেই ডাকতো। ছেলেবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক তার। কিন্তু কীভাবে অভিনেতা হওয়া যায়? এক সময় সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় ছেলেটি। তারপর শুরু হয়  মিডিয়ার দুর্গম পথে চলা। সুজন নামের এই ছেলেটি এখন নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ সব মাধ্যমেই প্রিয়মুখ, সবার প্রিয় অভিনেতা শাহেদ আলী।

শৈশবের মজার স্মৃতি

রঙিন শৈশবের এক মজার স্মৃতি শোনালেন শাহেদ। তার ভাষায়, ‘আমাদের বাড়ির পেছনে একটা বোর্ডিং ছিলো। ওখানা কিছু মানুষ সব সময় আড্ডা মারতেন। তাদের দেখে মনে হতো আজব ও আজাইড়া ধরনের লোকজন, যাদের কোনো কাজ নাই। স্কুলেও এমন কিছু লোক দেখতাম ছোটবেলায়। তারা আলাদাভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতো আবার তাদের অকর্মাও মনে হতো। পরে যখন সেই লোকগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি তখন মুগ্ধতা তৈরি হয়েছে তাদের প্রতি। সেই মানুষগুলো আর কেউ নন। তারা হলেন কবি শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আসাদ চৌধুরী, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, আবুল হাসান, জুয়েল আইচ। তারা আড্ডা দিতেন আমাদের বাড়ির কাছেই বিউটি বোর্ডিংয়ে। আর স্কুলের কাছে দেখতাম আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে। আরেকজনকে দেখে বড় হয়েছি তিনি হলেন কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী। ঈশ^র দাশ লেন ও প্যারিদাশ রোড পাশাপাশি। প্যারিদাশ রোডকে বলা হয় বাংলাদেশের সাহিত্যে সূতিকাগার। সব মিলিয়ে আমার ছোটবেলা কেটেছে বড় বড় সাহিত্যিকদের দেখে। সেই সময় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের প্রেস ছিল সেখানে। তারা সবাই ছিলেন আমার মহল্লার মানুষ। সমর দাস, হ্যাপী আখন্দ, লাকী আখন্দ, আব্বাস উদ্দিনের পরিবার। উনারা আমার প্রতিবেশি ছিলেন। খুব সমৃদ্ধ ছিল আমার ছেলেবেলার আঙিনা।’

শাহেদের শিক্ষা জীবন

শাহেদ আলী পড়ালেখা করেছেন সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুলে। একদম ইনফ্যান্ট থেকে এসএসসি পর্যন্ত এই স্কুলেই পড়েছেন। এরপর নটরডেম কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকেই ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেছেন। এরপর পড়েছেন জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে।

মঞ্চ দিয়ে পথচলা শুরু

দীর্ঘ সময় ধরে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন শাহেদ আলী। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রাচ্যনাটের সঙ্গে আছেন। মঞ্চে তিনি এখনো অভিনয় করেন নিজের দায়বদ্ধতা থেকে। শাহেদ আলী সবসময় বলেন, ‘যখন আমার পাশে কেউ ছিল না তখন মঞ্চ ছিল। তাই যতদিন শরীর-মন প্রাণ আছে ততদিন থিয়েটার করব।’ সর্বশেষ ‘আগুনযাত্রা’ নামে মঞ্চনাটকে কাজ করেছেন তিনি। নাটকটিতে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। থিয়েটারের সঙ্গে ভালোবাসা তৈরি হওয়ার এক গল্প শোনালেন শাহেদ, ‘১৯৮৫ সালের কথা। চলছে ঢাকা থিয়েটারের নাটক কীত্তনখোলার ১০০তম প্রদর্শনী। আমি তখন তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। আমার মনে হলো, একটা নাটক এতবার দেখাচ্ছে, কী আছে এতে, তা দেখতে হবে। বাবার কাছে গিয়ে নাটক দেখার বায়না ধরলাম। বাবা নিয়ে যেতে চাইলেন না। মন খারাপ করে কাটলো একদিন। পরের দিন টিফিনের সময় বাবা স্কুলে উপস্থিত। বললেন, স্কুল শেষে ‘কীত্তনখোলা’ নাটক দেখাতে নিয়ে যাবেন। স্কুল শেষে বাবার সঙ্গে গেলাম ঢাকার বেইলি রোডের মহিলা সমিতিতে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল টিকিট শেষ। মন খারাপ। ফিরে আসতে ইচ্ছে করছে না। এমন সময় একজন বললেন, তার কাছে টিকিট আছে। তারা নাটক দেখবেন না। আমরা সেই টিকিট নিয়েই বাবা ও ছেলে নাটক দেখলাম। এমন অনেক গল্প আছে বলে শেষ হবে না।’

থিয়েটার কীভাবে শুরু হলো? শাহেদ বললেন, ‘ইচ্ছে হলো মঞ্চে অভিনয় করব। বাবা বললেন, এসএসসি পাস করে নটরডেম কলেজে ভর্তি হতে পারলে তবেই মঞ্চে কাজ করতে দেবেন। বাবার শর্ত পূরণ করতে পেরেছিলাম। ভর্তি হলাম নটরডেম কলেজে। তারপর থিয়েটারও শুরু। আমার দাদার নাম ওয়াহেদ আলী। উনি যাত্রায় অভিনয় করতেন নারী চরিত্রে। দাদা সারাজীবন যাত্রায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেই গেছেন। এছাড়া কোনো পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন না। দাদা আমার অনেক বড় অনুপ্রেরণা। দাদার সেই পথ ধরে বাবাও অভিনয় করতেন। বাবা মঞ্চে, টেলিভিশন নাটকে এমনকি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। অভিনয় ভীষণ ভালোবাসতেন বাবা। কিন্তু অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিতে পারেননি। ব্যবসা করতেন বাবা। পাটুয়াটুলিতে উনার ঘড়ির ব্যবসা ছিল। কিন্তু অভিনয় উনার রক্তে ছিল। তাদের পথ ধরেই অভিনয়ের পোকা ঢুকে গেল আমার মাথায়। ছোটবেলায় দাদিও মুখে দাদার অভিনয়জীবনের গল্প শুনতাম রূপকথার বদলে। দাদা আমার জন্মের বেশ আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তারপর আব্বার অভিনয় দেখতাম। আমার পেশাদার অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে হলো ১৯৮৮ সালে ঢাকা থিয়েটারের কীর্তনখোলা নাটক দেখে। বড় হয়ে অভিনেতা হতে চাইলাম। ওই নাটকে আমি হুমায়ূন ফরিদীর অভিনয় দেখি ও তার একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে উঠি। উনি আমার ভাবগুরু ছিলেন। উনিই মনের ভেতর অভিনয়ের বীজ বুনে দিয়ে ছিলেন।’

স্বপ্ন অভিনেতা হওয়া, হলেন সহকারী পরিচালক

সবসময় অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নই দেখতেন শাহেদ আলী। কিন্তু কোন পরিচালক তাকে অভিনয়ের জন্য নেবে! তাই এক সময় তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন ক্যামেরার পেছনে। সুযোগ এলে অভিনয়ে শিফট করবেন। আবু সাইদ খানের মাধ্যমে প্রথমে সহকারী পরিচালনা শুরু করেন শাহেদ। এরপর পরিচয় হলো গিয়াসউদ্দীন সেলিমের সঙ্গে। তার সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করলেন। ছিলেন ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালকও। শাহেদ শোনালেন সহকারী পরিচালক হওয়ার গল্প, ‘ইংরেজি সাহিত্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া চলছে। বন্ধু কেতনের বাবা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী এ টি এম শামসুজ্জামান। তিনি অভিনয়জীবনের শুরুতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানলাম বলিউড অভিনেতা আমির খানও শুরুতে সহকারী পরিচালক ছিলেন। তাদের পথ অনুসরণ করে আমিও সহকারী পরিচালক হয়ে গেলাম।’ কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। ক্যামেরার পেছনে কাজ করতে করতে সেই কাজটির প্রতিও ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেল তার। এক সময়ে ভুলতে বসলেন, তিনি আসলে অভিনেতা হতে এসেছিলেন। বিভিন্ন পরিচালকের সহকারী হিসেবে একের পর এক নাটকের কাজ চলছে নিয়মিত। একদিন হঠাৎ করেই ঘটলো ঘটনাটা। কাজ করছিলেন খ্যাতিমান নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সেটে। একজন অভিনেতা অনুপস্থিত হওয়ায় পরিচালকের অনুরোধে তাকেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হলো। এই প্রথম ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা। প্রথম দিনেই পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন শাহেদ। পরিচালক বললেন, ‘সুজন তো অভিনেতা হয়ে যাচ্ছে।’ এই এতদিন বাদে শাহেদের মনে হলো সে তো আসলে অভিনেতাই হতে চেয়েছিল। এরপর থেকেই মাঝে মধ্যেই অভিনয় করতে শুরু করলেন বিভিন্ন চরিত্রে। আর সহকারী পরিচালক হিসেবেই কাজ চলতে থাকলো। এক সময় সিদ্ধান্ত নিলেন দুই নৌকায় পা না দিয়ে শুধু অভিনয়েই থাকবেন।

শাহেদ বলেন, ‘সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে অভিনেতা হিেেসব গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছি। প্রচুর গুণী মানুষদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। আমি শ্রদ্ধেয় গোলাম মোস্তাফার সহকারী ছিলাম। রওশন জামিল, আবুল খায়ের, হুমায়ূন ফরিদী, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তফা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, তারিক আনাম খান তাদের সঙ্গে কাজ করেছি। অনেক টেকনিক্যাল পার্সন ও মেকআপ আর্টিস্ট আব্দুর রহমান, ফারুক আহমেদের মতো মানুষদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছি। তাদের কাছে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি। এগুলো নিয়ে লিখতে চাই কোনো এক সময়।’

ছোটপর্দায় শাহেদ

ধীরে ধীরে ছোট পর্দায় অভিনেতা হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেতে থাকলেন শাহেদ আলী। একে একে রূপকথা, সাতকাহন, অঘটন ঘটন পটীয়সী, অন্তরীক্ষ’র মতো নাটকে অভিনয় করেন। অভিনয় করেন অরণ্য আনোয়ারের কর্তাকাহিনি ও মাতিয়া বানু শুকু এবং যুবরাজ খানের ‘প্রজ্ঞা পারমিতা’ ধারাবাহিক নাটকে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রেও অভিনয় করতে থাকলেন।  বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে উঠলেন তিনি। তার অভিনীত আলোচিত নাটকগুলোর মধ্যে আরও আছে তানিম রহমান অংশুর ফিকশন ‘সাহসিকা’, মাবরুর রশীদ বান্নাহ’র নাটক ‘মায়ের ডাকে’, সাইদুর ইমনের ‘টোয়েন্টি ফোর আওয়ার্স’, জাহিদ প্রীতমের ‘ভয় পেওনা’, রাফাত মজুমদার রিংকুর ‘দ্য ডিরেক্টর’, রেজানুর রহমানের ‘করোনাকালের ভালোবাসা’, ভিকি জায়েদ’র ‘পূণর্জন্ম’। নাটকগুলোতে শাহেদ আলীকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যায়।

বড় পর্দায় শাহেদ

প্রথম সহকারী পরিচালক হিসেবে শাহেদ কাজ করেছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’ সিনেমায়। আর অভিনেতা হিসেবে তার অভিষেক সিনেমাটি হলো গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’। ওই সিনেমারও সহকারী পরিচালক ছিলেন শাহেদ। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে। এছাড়া আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কলকাতার নির্মাতা বাবা জাদবের ‘বাদশা’, ‘বস টু’; জয় দীপ মুখার্জীর ‘তুই শুধু আমার’, ‘চালবাজ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় ‘জ¦লে জ¦লে তারা’সহ আরও কয়েকটি সিনেমাটি।

ওয়েব সিরিজে শাহেদ

আশফাক নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘জিরো টলারেন্স’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘যাত্রি’, ‘মহানগর’ (২০২১, ২০২৩), ‘সদরঘাটের টাইগার’ (২০২০, ২০২৩)। মহানগর ও ‘দৌড়’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। দৌড় নিয়ে শাহেদ বলেন, ‘দৌড়’র জন্য ৪ মাস অন্য কোথাও অভিনয় করিনি। আমার চরিত্রে নাম বুলেট রাজিব। সে পুরান ঢাকার সিরিয়াল কিলার। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। একই লুকে দীর্ঘ সময় থাকতে হয়েছে। অবশ্য এটি প্রচারের পর দেশ-বিদেশে অনেক সাড়া পয়েছি। সবচেয়ে খুশি হয়েছি আমার ছেলের মন্তব্যে। ও সাধারণত অভিনয় নিয়ে কিছু না বললেও দৌড় দেখে মন্তব্য করেছে। ও বলেছে, বাবা ওই চরিত্রটিতে তোমাকে সত্যি সত্যি বুলেট রাজিব মনে হয়েছে। তার অভিনীত মহানগর ২ সিরিজটিও দারুণ সাড়া ফেলেছিল; ‘কাইজার’ ওয়েব সিরিজটিও বেশ আলোচিত হয়। শাহেদ বলেন, ‘অভিনেতার কাজই অভিনয় করা। আমি সব মাধ্যমে অভিনয় করছি। তবে, ওয়েব ফিল্মের প্রস্তাব বেশি আসছে। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমি যেকোনো চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। সবসময় নিজেকে ভাঙতে চাই। কোনো চরিত্রে অভিনয় করার সময় আমি কে তা ভাবি না। আমি চরিত্র হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। সামনে ‘সাড়ে ষোলো’ নামের একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পাবে।’

শাহেদের পরিবার

স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার, ছেলে আদ্রিক ও মেয়ে আরোহীকে নিয়ে শাহেদের সাজানো সংসার। শাহেদ ও দীপার ভালোলাগার শুরু ২০০৬ সালের মাঝামাঝি। ‘ক্রান্তিক’ নামে একটা সিরিয়ালে কাজ করতে গিয়ে প্রথম পরিচয়। পরিচয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ে করেন তারা। সেই থেকে একসঙ্গে বেশ কাটছে তাদের জীবন।

শেষ কথা

শাহেদ আলী সবশেষে তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘অভিনয় খুব সহজ বিষয় নয়। নিয়মিত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে একজন অভিনয়শিল্পীকে এগিয়ে যেতে হয়। যার শেখার প্রয়োজন শিখে নিতে হবে। নাটক-সিনেমা দেখতে হবে। চারপাশের জীবন দেখতে হবে।’

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: শুভেচ্ছা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

17 − five =