আফরোজা আখতার পারভীন, বাকু, আজারবাইজান থেকে
হালনাগাদ এনডিসি বাস্তায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিনিয়োগ দরকার হবে ১৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে ৩২ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করবে। বাকি অর্থের জন্য বিদেশী সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি খুব জরুরি। গতকাল সোমবার বাকু২৯ ভেন্যুতে জাতিসংঘের একটি আয়োজনে অংশ নিয়ৈ উপরের কথাগুলো বলেছেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আগামী বছর এনডিসি ৩.০ জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
অপর একটি আয়োজনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই রূপান্তরের জন্য সময়োপযোগী এবং সমতাভিত্তিক আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯)-এর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আইএমএফ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত “রোড টু নেট জিরো: নেভিগেটিং দ্য এনার্জি ট্রানজিশন ইন সাউথ এশিয়া” শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৪০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। চীনকে বাংলাদেশে সোলার ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থানান্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছে, যা আমদানি নির্ভরতা কমাবে। এছাড়া, সোলার প্যানেলের উপর কর হ্রাসসহ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের আরেকটি আয়োজনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আপডেটেড এনডিসি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, যার মধ্যে ৩২ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্যোগে অর্জন করবে। তবে, বাকি অংশ আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, জিরো নেট কার্বন নিঃসরণ, দারিদ্র্যমুক্তি ও কর্মসংস্থান তৈরির “থ্রি জিরোস” ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা কামনা করছে। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশের নদীগুলো পরিষ্কারে জার্মানির সহায়তা চান।
পরে, রিজওয়ানা হাসান জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে “আর্টিকেল ৬ ইমপ্লিমেন্টেশন পার্টনারশিপ” সেশনে অংশ নেন। তিনি জাপানের কাছে সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।