এসি মিলানকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছে ইন্টার মিলান

মিলানের ডার্বিতে গতকাল জয় হয়েছে ইন্টারের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বি এসি মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। গতকাল এসি মিলানের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ১১ মিনিটের মধ্যে দুই গোল দিয়ে সফরকারী ইন্টার মিলানকে এগিয়ে দেন এডিন জেকো এবং হেনরিখ ম্যাখিতারিয়ান। ফলে এগিয়ে থেকেই আগামী বুধবার নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কোচ  সিমোন ইনজাগির ইন্টার।

হাকান চাহানুগলোর জোড়ালো শটের বল বারে লেগে দিক পরিবর্তন না করলে আরো বড় ব্যবধানেই জয় নিয়ে ঘরে ফিরতে পারতো ইন্টার মিলান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের আরো একটি দারুন সুযোগ হাতছাড়া করেছেন জেকো। তবে এই ফলাফলেই ফাইনালের ফেভারিট তকমা লেগে গেছে ইন্টারের গায়ে। সেটি সম্ভব হলে ১৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে ইন্টার।

জানুয়ারির পর নিজের তৃতীয় গোল করা জেকো গতকাল ম্যাচ শেষে প্রাইম ভিডিওকে বলেন,‘ মাঝেমধ্যে আমি গোল করতে পারি না। সেটি নিয়ে যে কেউ কথা বলতে পারেন। তবে আমি অন্য কিছু করে থাকি। আজ আমি দলের জন্য কাজ করেছি, আর এত বড় ম্যাচে সেটাই দরকার ছিল।’

ফাইনালে পৌঁছানোটা ইন্টারের জন্য বাড়তি আনন্দের হবে। একই সাথে  ২০০৩ ও ২০০৫ সালে যথাক্রমে সেমি ও কোয়ার্টার থেকে এসি মিলানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ। দুই লেগের সেমি ফাইনালে বিজয়ী দলটি আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে। ওই দুই দলের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে স্পেনে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে।

গতকাল অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারকা খেলোয়াড় রাফায়েল লিয়াও’র অনুপস্থিতি প্রকটভাবে অনুভব করেছে এসি মিলান। দলের মুল এই আক্রমনকারীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে এসি মিলানের উপর জেড়ালো আক্রমন করে ইন্টার মিলান। কারণ তারা জানতো পর্তুগাল ওই উইঙ্গারের অনুপস্থিতিতে তাদের রক্ষনে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না প্রতিপক্ষ দলটি।

এসি মিলানের ডিফেন্ডার ফিকায়ো টমরি প্রাইম ভিডিওকে বলেন,‘ আমরা শুরুতেই পরপর দুটি গোল হজম করেছি। ইন্টারের মতো দলের বিপক্ষে এমন অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা খুবই হতাশ। আমরা প্রথমার্ধে হয়তো অপেক্ষাকৃত ভালো করতে পারতাম। কিন্তু এ জন্য আমাদের ফাইনালে যাবার আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল।’

ম্যাচ শুরুর প্রায় এক ঘন্টা আগেই দর্শকে পরিপুর্ন হয়ে যায় রংবেরংয়ে সাজানো সান সিরো স্টেডিয়াম। এই সময় উভয় দলের সমর্থকরাই পরস্পর পরস্পরকে অপমান ও তামাশা করতে শুরু করে।

কিন্তু ম্যাচ যখন শুরু হয় তখন মনে হয়েছে একটি মাত্র দল খেলছে। টানা ৫টি জয়কে সঙ্গী করে আনা ইন্টারের আক্রমন ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে লিড নিতেও বেশী সময় নেয়নি সফরকারী ইন্টার। ম্যাচের অস্টম মিনিটে গোল করে ইন্টারকে এগিয়ে দেন জেকো। কর্নার থেকে চাহানুগলোর ইনসুইং ক্রসের বল নিখুঁত ভলিতে জালে জড়ান বসনিয় স্ট্রাইকার (১-০)। বলটি প্রতিহত করার কোন সুযোগই পাননি স্বাগতিক এসি মিলানের গোল রক্ষক মাইক ম্যাগনান।

ম্যাচের ১১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ফেদেরিকো ডিমার্কোর নিচু কাট ব্যাকের বল লটারো মার্টিনেজের পা ঘুরে চলে আসে আরমেনিয় মিডফিল্ডার ম্যাখিতারিয়ানের কাছে। বলটি জালে জড়িয়ে মৌসুমে নিজের পঞ্চম গোলটি নিশ্চিত করেন তিনি (২-০)।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × two =