ওমিক্রন ঠেকাতে যেসব ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করা করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে প্রতিরোধ করতে রবিবার কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরার্মশক কমিটি কিছু সুপারিশ করেছে। বিভিন্ন সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করা, পোর্ট অব এন্ট্রিগুলোতে করোনা পরীক্ষাসহ সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন, চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী ও বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুপারিশ করেছে কমিটি।

কবে থেকে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হতে পারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক  জানিয়েছেন, কিছু কিছু পদক্ষেপের কথা ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ সম্পর্কে আগামী মঙ্গলবার ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনা হবে। তখন সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনসমাগম সীমিত করা, ভীড় কমানো, জনগণকে মাস্ক পরাতে বাধ্য করা, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করা, ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন, সীমান্ত এলাকাগুলোতে স্ক্রিনিং জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা জানানো হবে মঙ্গলবার।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘পরার্মশক কমিটি যেসব সাজেশন দিয়েছে, সবগুলোই বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আমি নিজেও মঙ্গলবার মিটিং ডেকেছি।’ যেখানে প্রায় ১৮টি মন্ত্রণালয় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের নিয়ে সেদিন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। জাতীয় পরার্মশক কমিটির পরামর্শ নিয়েও সেখানে আলোচনা করবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তিনি যেসব মতামত দিয়েছেন, সেগুলোও মিটিংয়ে তুলে ধরবো।’তিনি আরও বলেন, ইউরোপের অনেক দেশ শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, আফ্রিকার সব দেশের সঙ্গেই ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। আমিও এই প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছিলাম। তিনিও একই মত দিয়েছেন। আমি এটা জানিয়ে দিয়েছিলাম আমাদের অফিসকে। তারা যেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেয়।’

‘সেইসঙ্গে জাতীয় কমিটির বাদবাকি পরামর্শ, যেমন ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন, জেলা পর্যায়ে নির্দেশনা; এগুলো মঙ্গলবারের মিটিংয়ের পর সব জেলায় চলে যাবে। এবার স্ক্রিনিং খুব জোরদার হবে। হাসপাতালগুলোও রেডি আছে। সেগুলোকে স্ট্যান্ডবাই করে ফেলবো।’

জনগণকেও সচেতন হতে বলতে হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেন সীমিত হয়। যেগুলো না করলেও চলে, সেগুলো না করার অনুরোধ করা হবে। জনসমাগম বন্ধ করার চেষ্টা করবো।’

‘মাস্ক পরার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেগুলো গ্রহণ করা হবে। যেমন মোবাইল কোর্ট করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হবে, প্রয়োজন হলে যেন তারা মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা করে।’

বাংলা ট্রিবিউন

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × 4 =