বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ, লেখক-সাংবাদিক ওয়াহিদুল হকের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি মারা যান তিনি।
সংস্কৃতিপ্রেম আর দেশ ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় ওয়াহিদুল হক ছিলেন সবার প্রিয়। অদম্য প্রাণশক্তি নিয়ে এই গুণী ব্যক্তি বাঙালি সংস্কৃতির শক্তিতে জাগিয়ে রেখেছেন দেশের মানুষকে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিকামী সাংস্কৃতিক দল নিয়ে জাগ্রত রেখেছেন মুক্তিসেনাদের। দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্র-গবেষণায়ও অন্যতম পুরোধা পুরুষ ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক দলের সংগঠনসহ ছায়ানট, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কণ্ঠশীলন, আনন্দধ্বনি, নালন্দা, ব্রতচারী সমিতি, সরোজ প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জীবনভর ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়েও সঙ্গীত প্রসারের কাজে ঘুরেছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়।
ওয়াহিদুল হকের জন্ম ১৯৩৩ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল মনোহরীয়া গ্রামে। তার বাবা আবু তাইয়েব মাজহারুল হক ও মা মেওয়া বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
আনুষ্ঠানিক পুরস্কার বা অবদানের ক্ষেত্রে বরাবরই ভীষণ অনীহা ছিল তার। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তার ‘জসীমউদ্দীন পুরস্কার’ ও ‘কাজী মাহবুব উল্লাহ পুরস্কার’ পাওয়ার কথা জানা যায়।তার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘চেতনাধারায় এসো’, ‘গানের ভেতর দিয়ে’, ‘সংস্কৃতি জাগরণের প্রথম সূর্য’ ও ‘সংস্কৃতির ভুবন’।