আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়, বাস্তবেই দেখা মিলবে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি প্রযুক্তির কন্টাক্ট লেন্সের। এটিকে স্মার্ট লেন্সও বলা হচ্ছে। অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন কোম্পানি এবং প্রযুক্তিবিদেরা এমন একটি কন্টাক্ট লেন্স উদ্ভাবন করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মোজো ভিশন’ সফলতার দেখা পায়। তারা ২০১৫ সাল থেকে কন্টাক্ট লেন্সটি নিয়ে কাজ করছিল।
বলা হচ্ছে, কন্টাক্ট লেন্সটি দ্রুতই দখল করবে ফোন ডিসপ্লের জায়গা। মানুষকে আর কোনো কিছু দেখা বা খোঁজার জন্য মাথা ঝুঁকে তাকাতে হবে না মোবাইল স্ক্রিনের দিকে। কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে তারা যা চান তা দেখতে পাবেন চোখের সামনেই।
মোজো ভিশনের সিইও ড্রিউ পারকিন্স এ বছরের জুন মাসে প্রথমবারের মতো এই স্মার্ট কন্টাক্ট লেন্সটি পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেন। লেন্সটির প্রতি ইঞ্চিতে পিক্সেল অর্থাৎ পিক্সেল ডেনসিটি (পিপিআই) ১৪ হাজার। মাইক্রো এলইডি ডিসপ্লে যুক্ত লেন্সটির ব্যাস মাত্র দশমিক ৫ মিলিমিটার। এটিকেই ক্ষুদ্রতম ডিসপ্লে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পিক্সেল ডেনসিটিও সবচেয়ে বেশি—পিক্সেল পিচ মাত্র ১ দশমিক ৮ মাইক্রন।
কন্টাক্ট লেন্সটিকে যেমন ব্যবহার করা যাবে ডিসপ্লে হিসেবে, তেমনি এটিকে অদূর ভবিষ্যতে রোগ নির্ণয়ে এমনকি রোগ নিরাময়েও ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অবশ্য লেন্সটি এখনো প্রোটোটাইপ পর্যায়ে রয়েছে। আর এটির দামও অনেক বেশি হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কোম্পানিটি। এ নিয়ে ইনস্টিটিউট অব অক্যুলার মাইক্রো সার্জারির মেডিকেল ডিরেক্টর ড্যানিয়েল অবশ্য মনে করছেন, দাম বেশি হওয়ায় কন্টাক্ট লেন্সটি খুব শিগগিরই সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসার সম্ভাবনা খুব কম।