কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব ‘হীরক রাজার দেশে’ দিয়ে উদ্বোধন

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। একইসঙ্গে পালিত হবে বাংলার গর্ব সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী। সুতরাং তাঁকে স্মরণ করেই এবারে উৎসবের উদ্বোধন হবে ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবিটি দিয়ে। সত্যজিতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর আরও ছ’টি ছবির দেখানো হবে উৎসবে।

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহ উদ্দীপনা সেই ২০১১ সাল থেকেই। সীমিত সিরিয়াস দর্শকের চৌহদ্দি থেকে জনগণের জনপ্রিয় মেলায় উৎসবকে পৌঁছে দিয়েছেন তিনিই। তবে কোভিডের কারণে গত বছর থেকে এই মেলা কিঞ্চিৎ প্রাণহীন। রাজ্যের বাইরের তো বটেই, এমনকি বিদেশি অতিথির অনুপস্থিতি উৎসবের জৌলুস অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে। সুরক্ষাবিধি মেনেই নতুন বছরে চলমান চিত্রের উৎসবের আয়োজন হচ্ছে।

হাঙ্গেরির বিখ্যাত পরিচালক মিকলোস ইয়াঁচর স্মরণে দেখানো হবে ‘ইলেকট্রো’। প্রয়াত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে স্মরণ করা হবে তাঁর চারটি ছবি দেখিয়ে। ট্রিবিউট এবং হোমেজ বিভাগে থাকবে প্রয়াত দিলীপ কুমার, জঁ ক্লুদ কারিয়ের, জন পল বেলমন্ডো, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, সুমিত্রা ভাবের একটি করে ছবি।

তবে উদ্বোধন নেতাজি ইনডোরে না, নবান্নর সভাঘরে, নাকি নন্দন প্রেক্ষাগৃহে– তা এখনও নিশ্চিত নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় থাকছে দশটি সিনেমা। তার মধ্যে বাংলা ছবি থাকছে দু’টি। তরুণ পরিচালক ঈশান ঘোষের ‘ঝিল্লি’ ও মধুজা মুখোপাধ্যায়ের দ্বীপ ৬। তবে ভারতীয় ছবির প্রতিযোগিতায় কিন্তু একটিও বাংলা ছবি ঠাই পায়নি। এবার বাংলা প্যানোরমা বিভাগে থাকছে দশটি ছবি। উৎসবের সভাপতি রাজ চক্রবর্তীর নতুন ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’ দেখানো হবে প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

শোনা যাচ্ছে, স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উদযাপন উপলক্ষেও নতুন পুরনো মিলিয়ে দেশাত্মবোধক অন্তত সাতটি ছবি দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগে ছিল হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে জ্যুরি সদস্যদের মধ্যে থেকে কয়েকজন বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সম্ভবত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ার পথে। এবার আন্তর্জাতিক ছবির জুরি সভাপতি হচ্ছেন ফিলিপিন্সের বিখ্যাত পরিচালক লাভ ডিয়াজ। সঙ্গে থাকছেন মরক্কো এবং তিউনিশিয়ার দু’জন। এবার ভারতীয় ছবির সেরা বাছাই করবেনও বিদেশেরাই। তিনজন বিদেশি নাকি থাকছেন এই দলে।

সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তৃতা কে দেবেন, এখনও নাকি নিশ্চিত করা যায়নি। দু’চার দিনের মধ্যেই স্থির হয়ে যাবে। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী গত বছরের মতোই টালিগঞ্জের নামি-দামি, ছোট-বড় সব শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে উৎসবের ক’টা দিন আলোচনায়-আড্ডায় উৎসব চত্বর জমজমাট রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেই খবর।

সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nineteen − 9 =