কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিবাহ বিচ্ছেদ

অরুণিমা হোসেন

কানাডার জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং স্ত্রী সোফি গ্রেগরি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। এরইমধ্যে একটি আইনি চুক্তিতে সই করেছেন তারা। এর মাধ্যমে এ দম্পতির ১৮ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। বুধবার (২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রুডো দম্পতি নিজেদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটিয়ে আলাদা থাকার এই সিদ্ধান্ত সব ধরনের নৈতিক ও আইনি পথ মেনেই নিয়েছেন। জাস্টিন-সোফি তাদের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানান, ‘আমরা একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাসহ একটি ঘনিষ্ঠ পরিবারে আবদ্ধ থাকব।’ এ সময় সন্তানদের মঙ্গলের জন্য এ বিষয়ে ‘গোপনীয়তা’ ধরে রাখার কথাও বলেন ট্রুডো।

ভ্যাংকুভারে কয়েক বছর শিক্ষতার পর ২০০২ সালে মন্ট্রিলে ফেরেন ট্রুডো। সেখানে তার সোফির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়া জাস্টিন ট্রুডো ভালোবেসে ২০০৫ সালের মে মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সাবেক মডেল ও টিভি উপস্থাপিকা সোফির সঙ্গে। বর্তমানে এই দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন সন্তান। পুত্র জেভিয়ার জেমস ও হ্যাড্রিয়েন গ্রেগরি এবং কন্যা ইলা-গ্রেস।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৫১ বছরের ট্রুডো এবং ৪৮ বছর বয়সী তার স্ত্রী সোফিকে প্রকাশ্যে কম দেখা গেছে। যদিও তারা মে মাসে রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। মার্চে কানাডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও স্বাগত জানিয়েছিলেন তারা।

জাস্টিন ট্রুডো হলেন কানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন বিচ্ছেদের পথে গেলেন। এর আগে ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোরই বাবা পিয়েরে ট্রুডো।

১৯৭১ সালে গোপনে মার্গারেট সিনক্লেয়ারকে বিয়ে করেন পিয়েরে ট্রুডো। ছয় বছর একসঙ্গে থাকার পর ১৯৭৭ সালে পিয়েরে ট্রুডো ও মার্গারিট ট্রুডো আলাদা থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ১৯৮৪ সালে তাদের চূড়ান্ত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এবার সোফির সাথে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে যেন বাবার পথেই হাঁটলেন জাস্টিন ট্রুডো।

অরুণিমা হোসেন: উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি, অটোয়া, কানাডা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × 2 =