কার হাতে উঠবে ক্রিকেটের রাজদণ্ড

উপল বড়ুয়া

কার হাতে উঠবে শিরোপা, হৃদয়ভাঙার যন্ত্রণায় কাঁদবে কে, কে হবেন নায়ক, খলনায়কই বা হবেন কে, আগামী চার বছরের জন্য ক্রিকেট বিশ্বের রাজদণ্ড যাচ্ছে কার হাতে। সামনে যখন ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদার বৈশ্বিক লড়াই ওয়ানডে বিশ্বকাপ তখন এসব প্রশ্ন কি না এসে পারে! ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে শুরু একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ । টি-টোয়েন্টি সংস্করণ ক্রিকেট দুনিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে বিশাল প্রভাব রাখলেও এখনো মানুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ বলতে ওয়ানডেকেই প্রাধান্য দেয়। হবেই না কেন! ১৯৭৫ সালে শুরু প্রথম বৈশ্বিক লড়াই যে এই সংস্করণেই। তবে দুঃখের বিষয়, প্রথম দুই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই এই বিশ্বকাপে। আবারও বিশ্বকাপে ফিরতে ব্যর্থ হয়েছে জিম্বাবুয়ে।

বিশ^কাপ সামনে রেখে ইতিমধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলো স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দিয়ে খেলতে শুরু করেছে প্রস্তুতি ম্যাচও। এরইমধ্যে দেখে নেওয়া যাক, দলগুলোর রণকৌশল ও প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ

পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম হলো না। এশিয়া কাপ থেকে নিউ জিল্যান্ড সিরিজ; তারপরও বাংলাদেশ দলে কী এক ঘাটতি যেন রয়েই গেছে। সেটি হতে পারে আত্মবিশ্বাস বা দল নির্বাচন; অবশ্য বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী মানুষ যেমন আছে, বাজি ধরবে এমন লোক খুব বেশি পাওয়া যাবে না। ওয়ানডেতে সমীহ জাগানিয়া হলেও বিদেশের মাটিতে তেমন সাফল্য নেই। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে, ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল।

আইপিএলে খেলার সুবাদে ভারতের মাটি বেশ চেনা সাকিব আল হাসানের। সেখানে তরুণদের পথ দেখানোর পাশাপাশি তামিম-মুশফিকদের থেকেও বেশি কিছু চাইবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলা এই তিনজন ছাড়া বাংলাদেশ দলে তো বটে, অন্য দলেও কেউ নেই। শুরুর মতো নিজেদের শেষ বিশ্বকাপটাও যদি রাঙাতে পারেন, তবে পরবর্তী ক্রিকেট প্রজন্ম নতুন উৎসাহেরও সন্ধান পাবে। মোস্তাফিজুর রহমান ফর্মে না থাকলেও তাসকিন আহমেদ-হাসান মাহমুদরা দলে থাকায় পেস আক্রমণ নিয়ে তেমন ভাবনা নেই। স্পিনে নাসুম আহমেদের সঙ্গে সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজ অলরাউন্ড পারফর্ম করতে পারলে ফল বাংলাদেশের অনুকূলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাওহীদ হৃদয়ের মতো তরুণ ব্যাটারের প্রতিও প্রত্যাশা থাকবে সবার। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্তকেও থাকতে হবে ফর্মে।

ভারত

গত এক দশক ধরে কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জেতা হয়নি ভারতের। টানা দুটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে না হারলে সেই অপেক্ষা ঘুচতো। তবে বিশ্বকাপটা নিজেদের মাটিতে হওয়ায় সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট হিসেবে অনেকে গণনায় রাখছেন ভারতকে। তবে ঘরের সমর্থকদের চাপ না আবার ‘হিতে বিপরীত’ হয়ে যায়! বরাবরের মতো এবারও ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। বিরাট-রোহিতের মতো অভিজ্ঞের সঙ্গে দলে আছেন শুবমান গিলের মতো তরুণ কিন্তু মেধাবী ব্যাটার। আছেন ইশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদবের মতো হার্ডহিটার। আর হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো অলরাউন্ডার দলে থাকাটা যেমন ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়িয়েছে, তেমন বাড়িয়েছে বোলিং শক্তিও। আর মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ শামিদের সমন্বয়ে গড়া দলের পেস ইউনিটে জসপ্রীত বুমরার ফেরাটা ভারতের বোলিং আক্রমণকেও বেশি শক্তিশালী করেছে। সেই সঙ্গে নিয়মিত আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাতে পারলে শিরোপা জিততে পারে ভারত।

পাকিস্তান

ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষসারির দিকে অবস্থান তাদের। দলে আছেন সীমিত ওভারে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো বিশ্বমানের ব্যাটার ও শাহিন আফ্রিদির মতো গতি তারকা। তবে পাকিস্তানের বর্তমান দলটির কারও ভারতের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। হবে কী করে! ভারতে পাকিস্তান সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে ২০১২-১৩ মৌসুমে। সেই দলের কেউ নেই বর্তমান দলে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ৩১ বছর ধরে সাফল্য না পেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনবার ফাইনাল খেলে ২০০৯ সালে জিতেছে প্রথম এবং একমাত্র শিরোপা। এবার যদি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ঘরে ওয়ানডে বিশ্বকাপটা জেতে, তবে অনেক সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া পাকিস্তানের ক্রিকেটে শুরু হবে নতুন অধ্যায়। ইমরান খানের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে পাকিস্তান। বাবর কি পারবেন তার পাশে বসতে?

শ্রীলঙ্কা

কোন বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ফেবারিট তকমা নিয়ে গিয়েছিল! অথচ তাদের শো-কেসে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে আছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। সোনালি সময় হারিয়ে গত এক দশকে ধুঁকতে দেখা গেছে লঙ্কানদেরও। টানা দুবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছে বাছাইপর্বের সাঁকো পেরিয়ে। গতবার যেতে পারেনি নকআউট পর্বে। এবার কি সেই বৃত্ত ভাঙতে পারবে? তার জন্য কুশল মেন্ডিস-পাথুন নিশাঙ্কা-দাসুন শানাকা-ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাদের জ্বলে উঠতেই হবে। খুব বেশি তারকাখ্যাতি এখনো পাননি বটে, তবে নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন তারা। কিছুদিন আগে হওয়া এশিয়াকাপে চমক দেখানো দুনিত ভেল্লালাগের স্পিনও ভোগান্তির কারণ হতে পারে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।

অস্ট্রেলিয়া

ক্রিকেট বিশ্বকাপ আর অস্ট্রেলিয়া ফেবারিটের তালিকায় নেই; এমনটা ভাবাও কঠিন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফলতম দল তারা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া কেমন দল, পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে সেটি আরেকটু স্পষ্ট হবে। সবচেয়ে বেশি সাতবার ফাইনাল খেলে রেকর্ড পাঁচবার বিশ্বকাপ জয়, তার মধ্যে স্টিভ ওয়াহ-রিকি পন্টিং যুগে রয়েছে হ্যাটট্রিক শিরোপাও। ভারতের মাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ডও অস্ট্রেলিয়ার। ওপেনিংয়ে পরীক্ষিত ডেভিড ওয়ার্নার। ওপেনিং ভালো না হলেও তা পুষিয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী তাদের মিডল অর্ডার। তিন পেসার প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডের সমন্বয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণও ভীতি জাগানিয়া। আর দলের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের গভীরতা বাড়িয়েছেন তিন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস ও ক্যামেরুন গ্রিন।

ইংল্যান্ড

এবারের বিশ্বকাপে বেন স্টোকস-জস বাটলারদের চ্যালেঞ্জটা অন্যরকমের। আগে ছিল অপেক্ষা ঘোচানোর, এখন সেটি শিরোপা ধরে রাখার। সেই লক্ষ্যে ওয়ানডে অবসর ভেঙে গত ফাইনালের নায়ক স্টোকসকে ফিরিয়ে আনা। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনেনি ইংল্যান্ড। কোচ ট্রেভর বেলিস ও অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সাফল্যটা ম্যাথু মট-জস বাটলার জুটি ধরে রাখতে পারেন কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়।

ব্যাটিং-বোলিংয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল ইংল্যান্ড। আইপিএল খেলার সুবাদে ভারতের মাটিও বাটলার-স্যাম কারানদের কাছে বেশ পরিচিত। ক্রিস ওকস, মার্ক উড, ডেভিড উইলিদের সমন্বয়ে গড়া পেস আক্রমণই ইংল্যান্ডের বোলিংয়ে মূল শক্তি। বিশ্বকাপটা উপমহাদেশে হলেও বিশেষজ্ঞ স্পিনার বলতে শুধু আদিল রশিদ। তবে মঈন আলী-জো রুটের অফব্রেক প্রয়োজনের সময় ব্রেকথ্রু এনে দিতে পারে।

নিউ জিল্যান্ড

কিউইদের দুঃখ অনেক পুরোনো। ওয়ানডে বিশ্বকাপের শুরু থেকে আছে তারা। কিন্তু ক্রিকেটের কুলীনবংশ হয়েও বারবার ফিরতে হয়েছে ভগ্নমনোরথে। গত দুই বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের ক্ষত নিয়ে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে তারা। উদ্বোধনী ম্যাচে আহমেদাবাদে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড। হয়তো শোধ নিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিতে চাইবে কিউইরা। সব সময়ের মতো এবারও বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিউ জিল্যান্ড। স্কোয়াডের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের বয়স ৩০-এর কোটায়। গায়ে ‘ফেবারিট’ তকমা না থাকলেও ক্রিকেটবোদ্ধারা জানেন, নিজেদের দিনে ব্ল্যাকক্যাপরা হারিয়ে দিতে পারে যে কাউকে। টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্টের মতো অভিজ্ঞ পেসারদের সঙ্গে ডেভন কনওয়ে-ড্যারিল মিচেলদের মতো মারকুটে ব্যাটাররা জ্বলে উঠলে টানা পঞ্চম সেমিফাইনালে দেখা যেতে পারে নিউ জিল্যান্ডকে। আর ফাইনালে উঠলে হ্যাটট্রিক রানার্স-আপ নিশ্চয় হতে চাইবে না তারা। দীর্ঘদিন পর চোট কাটিয়ে কেন উইলিয়ামসন ফেরায় নেতৃত্বের ভার কাঁধ থেকে নামিয়ে নিজের ব্যাটিং নিয়ে আরও মনোযোগী হতে পারবেন টম ল্যাথাম। উইলিয়ামসনও ক্যারিয়ারের শেষ বিশ^কাপ জিতে নিউ জিল্যান্ডকে আনন্দে ভাসাতে চাইবেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ জিতবে, সেটা নিজেরাই বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ। এমন নয় যে, তাদের সামর্থ নেই কিংবা তারা অন্যদের চেয়ে শক্তিমত্তায় পিছিয়ে। কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে প্রোটিয়াদের তীরে এসে তরী ডুববে, এটাই যেন নিয়তি! নামের সঙ্গে ‘চোকার’ শব্দটি তো আর এমনি এমনি বসেনি! নিজেদের সেরা সময়ে না থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চিন্তা থাকবে প্রতিপক্ষের। গত বিশ্বকাপে ফাফ ডু প্লেসি-হাশিম আমলা থাকা সত্ত্বেও সেমিফাইনালে যাওয়া হয়নি তাদের। এবার সেই আক্ষেপটা ঘোচাতে ব্যাটিংয়ে মূল দায়িত্বটা সামলাতে হবে কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলারদের। তবে এবারের বিশ্বকাপে দলটির তুরুপের তাস ভাবা হয়েছিল যাকে, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো সব ধরনের শট খেলতে পারা সেই দেভাল্ড ব্রেভিসকে ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বোলিংয়ে রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, তাবরাইজ শামসি ও কেশব মহারাজরা সেরা ছন্দে থাকলে দারুণ কিছু করতে পারে প্রোটিয়ারা।

আফগানিস্তান

ফেভারিট না হোক, তারপরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে কেউ সাবধানে পা ফেলতে চাইবে। দশক দুয়েকের মধ্যে ক্রিকেটে তাদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এখন বিশ্বকাপেও তারা পরিচিত মুখ। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে তারা যতটা চৌকষ দল, ওয়ানডেতে ততটা নয়। নিজেদের দিনে মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, রহমানউল্লাহ গুরবাজরা গুঁড়িয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষকে। শারীরিক শক্তি তো আছেই, মগজের খেলাটাও দেখাতে পারলে কেল্লা ফতে! ওপেনিংয়ে বোলারদের ঘুম হারাম করে দিতে পারেন গুরবাজ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। সঙ্গে নতুন বলে ফজল হক ফারুকির পেস আক্রমণ ও মুজিব উর রহমানের রহস্যময় স্পিন ভোগাতে পারে ব্যাটারদের।

নেদারল্যান্ডস

১২ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখা যাবে শিল্প ও ফুটবলপ্রিয় ডাচদের। ইউরোপের অধিকাংশ দলের মতো নেদারল্যান্ডস গঠিত ‘বিভিন্ন দেশের’ ক্রিকেটারদের নিয়ে। তবে তাদের মাঠে নিজেকে নিংড়ে দেয়ার প্রবণতা ফেবারিটদের মসৃণ পথচলায় কণ্টক বিছিয়ে দিতে পারে। নেদারল্যান্ডস এবার বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল, কথাটা তাদের কোচ রায়ান কুকের। ফেরানো হয়েছে রোল্ফ ফন ডার মারউই ও কলিন আকারম্যানকে। ম্যাক্স ও’ডাউডের মতো ব্যাটারের পাশাপাশি মিডল অর্ডারে আছেন বাস ডি লিড ও তেজা নিদামানারুর মতো পরীক্ষিত সৈনিক। পেসার হলেও প্রয়োজনে ব্যাটটা ভালোই চালাতে পারেন লোগান ফন ভিক। ডাচদের বিশ্বকাপে খেলার পেছনে এই তিনজনের বড় ভূমিকা রয়েছে।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: খেলার মাঠ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 − five =