কার হাতে উঠবে শিরোপা

নিবিড় চৌধুরী

ভারত নাকি পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া না ইংল্যান্ড – এবারের বিশ্বকাপে আপনার ফেবারিট কে? কার হাতে শিরোপা উঠবে বলে মনে করেন। পুরোনো কোনো ঘরে উৎসব চলবে নাকি নতুন ইতিহাস লেখা হবে এবার মার্কিন মুলুকে, এ নিয়ে একটা বাজি হবে নাকি? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিট বলে আসলে কেউ নেই। তারপরও শক্তি, সামর্থ্য, অতীত ইতিহাস, পরিসংখ্যান বিচারে কয়েকটি দলকে এগিয়ে রাখায় যায়। সেই বিচারে শুরুতেই নাম আসবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৭ বছরের ইতিহাসে ৮ সংস্করণে এই পাঁচ দলের সবাই শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। তার মধ্যে তো সর্বোচ্চ দুইবার ট্রফি জিতেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকিরা একবার করে। একবার শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কাও। ইংলিশদের সমান সর্বোচ্চ তিনবার ফাইনাল খেললেও ফেবারিটের তালিকায় লঙ্কানদের নাম না দেখে একটু অবাক নিশ্চয় হয়েছেন? তাদের না রাখার পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। কুমার সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধনের-তিলকারত্নে দিলশান পরবর্তী প্রজন্ম অনেকটা যেন নখর ছাড়া সিংহ। তারপরও বড় মঞ্চে গেলে শ্রীলঙ্কার বাজিমাত করার পুরানো রেকর্ড রয়েছে। ১৯৯৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ফেবারিটের তালিকায় তাদের নাম ছিল না। তবে অর্জুনা রানাতুঙ্গার অসাধারণ নেতৃত্ব আর সনাথ জয়াসুরিয়া ও অরবিন্দ ডি সিলভার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল তারাই। আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার নেতৃত্বে লঙ্কানরা এবার বাকিদের বধ করবে না তো?

ফেবারিটের তালিকায় রাখা যায় নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকেও। কিন্তু কখনো সীমিত ওভারের কোনো বিশ্বকাপ না জেতা এই বনেদি দুই দলকে নিয়ে খুব বেশি আশা করলে হতাশই হবেন। কারণ, শুরুতে দুর্দান্ত খেলে নকআউটপর্বে উঠবে তারা। তারপর বিদায় নেবে সেমিফাইনাল থেকে। প্রায় প্রতিবার ক্রিকেট বিশ্ব এমনই তো দেখে আসছে। ভারতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও কী অসাধারণেই না খেলেছিল কিউই ও প্রোটিয়ারা। তারপর তো সেই শেষ চারেই থামল, কোনো লড়াই না দেখিয়ে। এই কারণে নিজেদের নামের সঙ্গে ‘চোকার’ শব্দটি বসে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। নিউ জিল্যান্ডকে ক্রিকেটের দুঃখী রাজপুত্রই বলতে হবে। ২০১৫ ও ২০১৯ – টানা দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি কেন উইলিয়ামস-টিম সাউদিদের। আমিরাতে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে তাদের। এবার কী সেই দুঃখ ঘুচবে তাদের?

সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। দলও দিয়েছে তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশেলে। জ্যাক ক্যালিস, অ্যালান ডোনাল্ড, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতোন তারকারা অনেক চেষ্টা করেও যেটা করতে পারেননি এবার কি সেটা করতে পারবেন এইডেন মার্করাম-হেনরিখ ক্লাসেনরা? এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইনআপ দক্ষিণ আফ্রিকার। বিশ্বকাপে প্রথমবার তিনশো ছোঁয়া ইনিংস যদি কেউ করার সামর্থ্য রাখে তবে সেটি প্রোটিয়ারা। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের ব্যাটিং সেই বার্তাই দিয়েছে। মার্করাম থেকে ক্লাসেন, ত্রিস্তান স্তাবস, ডেভিড মিলার, নিজেদের দিনে তারা কতটা খুনে মেজাজের হতে পারেন সেটি আর না হয় নাই বললাম। ক্লাসেনকে এবার মনে করা হচ্ছে ‘ডার্কহর্স’। গত কয়েক বছরে নিজেকে পুরো পাল্টে ফেলেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এই মুহূর্তে তার চেয়ে বেশি ছক্কা মারতে পারেন কোন ব্যাটার? ‘ছক্কা স্পেশালাস্টি’ ক্লাসেন যদি সেরা ফর্মে থাকেন তবে প্রতিপক্ষ বোলারের ঘুম হারাম হয়ে যেতে পারে।

বাজি রাখতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়েও। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের খেলোয়াড়দের ফর্ম যেমনই হোক, এবারের বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বলে ক্যারিবীয়দের গোনায় রাখতে হবে। তারমধ্যে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ, রভমেল পাওয়েলরা এত সহজে ছেড়ে দেবেন না কাউকে। তারুণ্যনির্ভর দলটিতে প্রায় দুই বছর পর আন্দ্রে রাসেল ফেরায় বাড়তি সাহস যোগাবে। এই মুহূর্তে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সেরা অলরাউন্ডারদের একজন তিনি। তবে ক্রিস গেইল-ড্যারেন সামিদের উত্তরসূরিদের ভালো করতে আগে নিজেদেরই ধারাবাহিকতায় ফিরতে হবে।

ফেবারিটের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না পাকিস্তানকেও। কিন্তু বাবর আজমদের নিয়েও খুব বেশি আশা করলে হতাশ হতে পারেন। জেতা ম্যাচ হাত থেকে ফেলে দেওয়া বা হারতে বসা ম্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে জিতে যাওয়া, এই তো পাকিস্তান। না হলে কী নিজেদের নামের সঙ্গে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ শব্দটি বসত! গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে লম্বা সময়ের পর ভারতে গেলেও সফল হতে পারেনি পাকিস্তান। ব্যর্থতার দায়ে তিন সংস্করণ থেকে নেতৃত্ব ছাড়তে হয় বাবরকে। তবে এক সিরিজ পর সাদা বলের নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের জন্য সবচেয়ে ‘কঠিন’ প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তানই। প্রাথমিক দল নিয়ে নিয়েছে আর্মি ট্রেনিং। ইউরোপ সফরে খেলেছে দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে অবশ্য তারা খুব বেশি ভালো করেছে সেটি বলা যাবে না। সেই দুই সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনায় পাকিস্তান বিশ্বকাপ দল দিয়েছে সবার শেষে। সবার শেষে দল দিয়েছে বলেই হয়তো মার্কিন মুলুকে নিজেদের যাত্রাটা লম্বা করতে চাইবে তারা। ঘরে ফিরতে চাইবে সবার শেষে। সীমিত ওভারের বিশ্বকাপের অন্যতম সফল দল তারা। যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ তিনবার ফাইনাল খেলেছে। শেষ ওভারে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে মিসবাহ-উল-হক অমন আত্মঘাতি স্কুপ না খেললে হয়তো ২০০৭ সালের প্রথম আসরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পাকিস্তানই জিতত। তবে অমন ক্ল্যাসিক ফাইনালে হারের কষ্টটা তারা ভুলেছিল দুই বছর পর, দ্বিতীয় আসরে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে। বাবর-শাহিন আফ্রিদিদের হাত ধরে গত আসরেও ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। তবে পেরে উঠেনি অজিদের সামনে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার সামনে আরেকবার অসহায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। দুই বছর আগের সেই দুঃখ কি ভুলতে পারবেন বাবররা?

না কি তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের হাতেই যাবে শিরোপা? ২০১৪ সালে শেষবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। আইসিসির যেকোনো টুর্নামেন্টে সবসময় ফেবারিটের তালিকায় থাকলেও গত ১১ বছর ধরে কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জিততে পারেনি তারা। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ মিনি বিশ্বকাপ নামে পরিচিত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, এরপর তাদের ট্রফি ক্যাবিনেটে ধুলার আস্তর বেড়েই চলেছে। ধোনিও নেই, ট্রফিও নেই; এখন তাদের অবস্থাটা এমনই। সেই অবস্থা পাল্টাতে পারেননি বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মতোন তারকারাও। তারা নেতৃত্বে এসেও কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি। ঘরের মাটিতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিনে কী অসাধারণই না খেলেছিল ভারত! দাপটের সঙ্গে উঠে গিয়েছিল ফাইনালে। কিন্তু শিরোপা যুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ের লাখো ভারতীয় সমর্থককে বেদনায় নীল করে হলুদ উৎসব সারে অজিরা।

সেই দুঃখ কী রোহিত-কোহলিরা ভুলতে পারবেন ক্যারবীয় দ্বীপপুঞ্জে? ঘুচবে কি ১৩ বছর ধরে কোনো বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ? সামর্থ্যরে তুলনায় ভারতকে ফেবারিটের তালিকায় উপর দিকেই রাখতে হবে। ব্যাটারদের কমতি নেই। সেই দলে জায়গা হয়নি শুবমান গিলের মতো তরুণ ব্যাটারের। আইপিএলে ভালো করলেও সুযোগ হয়নি সঞ্জু স্যামসনের। নেই লোকেশ রাহুল-দীনেশ কার্তিকের মতো উইকেটরক্ষক-ব্যাটাররা। তবে এবার চোখ থাকবে প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া যশস্বী জয়সওয়ালের দিকে। এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার আইপিএলে দারুণ খেলেছেন। টেস্টে ধৈর্যশীল ব্যাটিং আর সীমিত ওভারে বড় বাউন্ডারি হাঁকানো, দুটোতেই সমান পারদর্শী তিনি।

ইংল্যান্ডকে হিসেবে না রেখে কী উপায় আছে? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। সীমিত ওভারের এই বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংলিশরা। সর্বোচ্চ দুইবার শিরোপা জিতেছে, সর্বোচ্চ তিনবার ফাইনাল খেলেছে। গত এক দশকের ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল দল তারা। তারপরও কিছু শঙ্কা রয়ে যাচ্ছে জস বাটলারদের নিয়ে। ২০১৯ সালে লর্ডসে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু চার বছর পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভারতে গিয়ে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। এক সঙ্গেই যেন দলের সবাই ফর্ম হারিয়ে ফেলেছিলেন। এবারও কি কপালে তেমন কিছু লেখা আছে বাটলার-বেয়ারস্টোদের?

অস্ট্রেলিয়া এমন এক দল, যারা হারার আগে হারে না। ক্রিকেট বিশ্বে তাদের চেয়ে সফল আর কারাই বা আছে? রেকর্ড ছয়বারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে, একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০২১)। অজিরা ফেবারিটদের তালিকায় উপরের দিকে থাকবে। এবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ খেলবে মিচেল মার্শের নেতৃত্বে। প্রথমবার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। তবে নিজের ও বাকি কয়েকজন সতীর্থের চোট মিলিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে মার্শকে।

কেমন করবে বাংলাদেশ

দল ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বকাপে বেশি কিছু আশা করবেন না। করলেও সেটি মনে মনে রাখবেন’। দলের অধিনায়কেই যখন এমন কথা বলেন, তখন বাংলাদেশি সমর্থকেরা ভালো কিছু কীভাবে আশা করতে পারে! আর এবারও ‘ভালো কিছু’ যে হবে না সেটির প্রমাণই যেন শান্তরা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেই। প্রথম ম্যাচেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার! সেটিও কিনা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে! যারা কিনা আইসিসির সহযোগি সদস্য!

নিজেদের দেশে ক্রিকেট জনপ্রিয় করে তুলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও এবারের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক। বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে ওদের স্কোয়াড। আছেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার কোরি অ্যান্ডারসনও। তারপরও ক্রিকেটের এমন এক ‘নির্বিষ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার আরেকটি করুণ পরিণতির আভাসই দিচ্ছে। সেই হারের পর যুক্তরাষ্ট্রের অপরিচিত উইকেটের অজুহাত দিয়েছেন শান্ত।

কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন আসরেই বা ভালো করেছে বাংলাদেশ? দল ঘোষণার আগে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছেন শান্তরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও হেরেছেন শেষ ম্যাচে। এমন পারফরম্যান্সের পর কিই বা আশা করা যেতে পারে! বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পড়েছে ‘ডি’ গ্রুপে। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। যার কারণে সুপার এইটে যেতে বেশ কষ্ট করতে হবে শান্তদের। নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতলেও শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা, যে কারও বিপক্ষে যে একটি ম্যাচ জিততেই হবে। নয়তো বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। আশার কথা, এই দুই দলকে হারানোর অতীত অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের।

চোট কাটিয়ে ফেরার পর ডিপিএল ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে বেশ ভালো করলেও ডেথ ওভারে ‘ইয়র্কার’ সমস্যার কারণ দেখিয়ে নির্বাচকেরা দলে রাখেননি বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। আরেক বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ যে থাকবেন না সেটি জানাই ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তার নাম টপ অর্ডার। লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের যে ফর্মহীনতা ও অধারাবাহিকতা সেটি ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক শান্ত প্রথমবারের মতো তিন সংস্করণের নেতৃত্ব পেয়েছেন। প্রথমবার অধিনায়কত্ব করবেন বিশ্বকাপে। কিন্তু তিনি নিজেই ফর্মে নেই। বল হাতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজে চোটে পড়া পেসার তাসকিনকে নিয়েও রয়ে গেছে শঙ্কা। দলকে ভালো কিছু এনে দিতে আইপিএলের ফর্ম জাতীয় দলেও টেনে আনতে হবে ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমানকে। অভিজ্ঞতার আলো দিয়ে দলকে পথ দেখাতে হবে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। হয়তো এটিই দুজনের শেষ বিশ্বকাপ। শেষ বিশ্বকাপে তারা কি পারবেন বাংলাদেশকে স্মরণীয় কিছু এনে দিতে? কতদূর যেতে পারবে বাংলাদেশ?

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: খেলার মাঠ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × two =