কামাল আতাতুর্ক মিসেল
প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের লীলা নিকেতন বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষা এক অনন্য ঋতু। বর্ষার আগমনকে স্বাগত জানায় কদম ফুল। গোলাকার সাদা হলুদ রঙে মিশ্রিত ফুলটি দেখতে যেন ভোরের উষা। রুপসী তরুর অন্যতম হলো কদম ফুল।
আজ প্রকৃতি যেন কানের দুলে সেজেছে কদম ফুল দিয়ে। কবিতায় গানে বর্ষাকে বর্ণনা করতে বারবার এসেছে কদম ফুল প্রসঙ্গ। এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে অথবা বাদল প্রথম কদম ফুল গানগুলো যেন প্রকৃতিতে বর্ষার রূপকে ছবির মতো তুলে ধরে।
কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে এখন হলুদে সেজেঁছে । বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে কদম ফুলের। এ বিরামহীন বর্ষণে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। যেখানে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ বর্ণের অসংখ্য কদম ফুল। অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা গেছে কদম ফুল হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
স্কুল শিক্ষক মশিউর রহমান বাসসকে জানান, বাংলার হাজার ফুলের মধ্যে কদমের সৌন্দর্য অন্যতম। আপাত দৃষ্টিতে আমরা গোল আকৃতির যে একেকটি কদম ফুল দেখি সেটি আসলে অজস্র ফুলের সমারোহ। কদম মূলত বর্ষার ফুল হলেও ফোঁটা শুরু করে জৈষ্ঠ্যের শুরু থেকেই। তবে আষাঢ় মাসেই এ ফুলের সমারোহ বেশি হয়। কদমফুল ছাড়া বাংলাদেশে বর্ষাকাল যেন অসমাপ্ত।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, বর্ষা এলেই বাংলার খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে ভরে ওঠে। সেইসঙ্গে পথে-প্রান্তে কদম গাছে ফুটে থাকে ফুল। কদম গাছের বাণিজ্যিক মূল্য কম থাকায় গাছটি রোপণ কম হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় ইটভাটায় কম মূল্যে গাছগুলো বিক্রি হয়ে থাকে। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরনের গাছ রোপণ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাসস