মঙ্গলবার আকরাম খান জানান, পারিবারিক কারণেই ক্রিকেট বোর্ডের পদ ছাড়ার পরিকল্পনা তার। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের আকরাম খান বলেন, ‘হ্যাঁ, পারিবারিক কারণেই সরে যাচ্ছি। যেহেতু আমি এখানে অনেক বছর ছিলাম। এখানে মানসিক ও শারীরিক শক্তির দরকার হয়। সব মিলিয়েই এই বিরতির সিদ্ধান্ত। পাপন ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব, এখন আমি এ নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। উনার পরামর্শই আমি অনুসরণ করব। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি আট বছর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে ছিলাম, তো এটা নিয়ে আমাদের মাননীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট আমার যে অভিভাবক, গত আট বছরে উনার থেকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছি কাজের জন্য। তো উনার সঙ্গে আলাপ করে হয়তো কালকের মধ্যে আমার সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেব। উনার কনসার্ন ছাড়া আমি আপনাদের কিছু বলতে পারব না। ৩টার দিকে আজ কল করেছিলাম, রিপ্লাই দেননি। হয়তো যেকোনো সময় কল ব্যাক করবেন। কল করলে উনার সঙ্গে আলাপ করে নেব।’
এর আগে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে আকরামের স্ত্রী সাবিনা আকরাম ফেসবুক পোস্ট দিয়ে এই খবরটি জানিয়েছেন। সাবিনা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স ছেড়ে দিচ্ছে আকরাম খান। ’
সাবিনা আকরামের এই পোস্ট ঝড়ের বেগে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথেই নিজের ফোন বন্ধ করে দেন আকরাম খান। যে কারণে ফোন করে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আকরামকে আসলে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক আকরাম খান ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর থেকেই তিনি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামী সপ্তাহে বিসিবির প্রথম বোর্ড সভায় ক্রিকেট অপারেশন্সের নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হতে পারে।
আকরাম খানের ফোন বন্ধ থাকলেও সাবিনা আকরাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত। ক্রিকেট নিয়ে জীবনের বড় একটা সময় পড়ে থাকল আকরাম। আমরা চাই এখন সে ক্রিকেটের পাশাপাশি স্ত্রী-কন্যা তথা পরিবারকে আরও সময় দিক। দ্রুতই সে নিজ মুখে মিডিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানাবে।’
বাংলানিউজ