সালেক সুফী
এশিয়া কাপ এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপ অত্যাসন্ন। দুটি টুর্নামেন্টেই রয়েছে বাংলাদেশের সাফল্যের সমূহ সম্ভাবনা। চলছে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ। দেশের সব ফরম্যাটের সবচেয়ে বেশি রান রেকর্ডের অধিকারী এযাবৎকালের সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান ওডিআই অধিনায়ক তামিম ইকবাল অশ্রু জলে সিক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করলেন নিজের উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে। ক্রীড়া বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট নিয়ে সমধিক পরিচিত। আর এই পরিচিতির মুলে যাদের অবদান মুক্ষ তাদেরই অন্যতম চট্টগ্রামের ক্রীড়ানুরাগী পরিবারের তামিম ইকবাল খান। সেই ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় থেকে শুরু করে অনেক অনন্য অর্জনের অন্যতম অগ্রনায়ক তামিম এখনো ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসাবে অপরিহার্য। আর তার নেতৃত্বে এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপে ভালো কিছু অর্জনের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তাকে কেন অশ্রু সজল হয়ে বাকরুদ্ধ অবস্থায় বিদায় নিতে হবে? সাদা চোখে দেখলেও বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় বিসিবি ক্রিকেট ব্যাবস্থাপনা তামিমকে এই অনাকাঙ্খিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করেছে। নিঃসন্দেহে এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেট মিশন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের চির দিনের শুভাকাঙ্খী হিসাবে তামিমের অবসর বিষয়ে ক্রীড়া প্রেমিক বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি প্রাক্তন অধিনায়ক, স্বাধীনতা পুরুষ্কার প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসানের সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে বিষয়টির অনুসন্ধান দাবি করছি। তামিম বলেছে অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছা করে। একজন জাতীয় বীরের না বলা কথাগুলো জানতে চেয়েছে আরেক কিংবদন্তি মাশরাফি বিন মুর্তজা। এদেশের লক্ষ কোটি ক্রিকেট আমুদে মানুষের জানার অধিকার আছে। এমনি করে একে একে ক্রিকেট বীর বেতনভুক বিদেশী কোচদের দুরভিসন্দিতে অশ্রু জলে বিদায় নিবে মেনে নেয়া যায় না।
জানি তামিম এখন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছে। ওকে তো নিজেকে প্রমান করে দলে আসতে হবে না। ধুঁয়া দেখে কেন আগুনের লেলিহান শিখার অভ্যাস পেলো না বিসিবি? কেন বিসিবি প্রধান আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন ? এগুলোর উত্তর জানা প্রয়োজন। মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ, সাকিবরা খেলে বলেই কিছু অর্বাচীন মানুষ নানা ভাবে বিসিবির পদ অলংকৃত করে আছে , প্রায় প্রতিদিন মিডিয়ায় নিজেদের বাহাদুরি দেখাচ্ছে। আমি আবারো বলছি দেশের স্বার্থে তামিমকে অন্তত ২০২৩ বিশ্ব কাপ পর্যন্ত খেলতে রাজি করানো হোক। একজন তামিম গত দেড় যুগেও গড়ে তুলতে পারে নি বিসিবি , জানি কেউ চির দিন কোনো কিছুর জন্যই অপরিহার্য থাকে না। তবে বীর বন্দনা না করলে বীরের জন্ম হয় না। তামিম বিজয়ী বীর ভুল করলে চলবে না।