অ্যাডেলের কনসার্টে ক্ষিপ্ত কোরিয়ান ভক্তরা

আগস্ট মাসজুড়ে জার্মানিতে ব্যস্ত থাকবেন ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেলে। তাঁর সংগীতজীবনের সবচেয়ে বৃহৎ সংগীতসফরের আয়োজন চলছে দেশটির অন্যতম প্রধান শহর মিউনিখে। ‘অ্যাডেলে ইন মিউনিখ’ নামের এ সংগীতসফরে ১০টি কনসার্টে গাইবেন তিনি, যা শুরু হয়েছে ৩ আগস্ট। প্রথম কনসার্টে ছিল দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। সব ভালো হলেও খুশি নন কোরিয়ান ভক্তরা। অ্যাডেলের ব্যাপক সমালোচনা করছেন তাঁরা।

প্রথম কনসার্টটি অ্যাডেলে শুরু করেন ‘রিউমার হ্যাজ ইট’ গান দিয়ে। ব্যাকড্রপে তখন অ্যানিমেশন আকারে ভেসে উঠছিল বিভিন্ন ছবি ও প্রতিকৃতি। একপর্যায়ে দেখা যায়, উদীয়মান সূর্যখচিত পতাকার ছবি। এটি নিয়েই আপত্তি কোরিয়ান ভক্তদের। কারণ, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে জাপানের একসময়ের এই পতাকা কোরিয়ানদের জন্য অত্যন্ত আপত্তিকর। অ্যাডেলের গানের ব্যাকগ্রাউন্ডে কেন এটি ব্যবহৃত হলো, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি তাঁর কোরিয়ান ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

এক্সে বিষয়টি নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বিশ্ব ইতিহাস সম্পর্কে এতটা অসচেতন কীভাবে হতে পারেন তিনি!’ আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘জাপানের উদীয়মান সূর্যের প্রতীক সংবলিত এ পতাকা অনেক এশিয়ানদের কাছে ঘৃণিত, যেমন পশ্চিমাদের কাছে ঘৃণিত নাৎসি পতাকা। আশা করি, বিষয়টি পশ্চিমারা গুরুত্বসহকারে দেখবে।’ আরেক ভক্তের মন্তব্য, ‘এটা অজ্ঞতা নাকি ইচ্ছাকৃত? জার্মানিতে তারা নাৎসি পতাকা ব্যবহার করতে পারে না, তাই বিকল্প হিসেবে এটা করল? এটা মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃত।’ সমালোচনা হলেও এখনো অ্যাডেলে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

অ্যাডেলে ইন মিউনিখ’ সংগীতসফরের ১০টি কনসার্টে ৮ লাখের বেশি দর্শকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা। মঞ্চের চারপাশে ২২০ মিটার দীর্ঘ এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এর আগে কোনো কনসার্টে এত দীর্ঘ স্ক্রিন দেখা যায়নি, বিষয়টি তাই গিনেস রেকর্ডে জায়গা পেতে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − 3 =