খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী

খনিজ সম্পদ উত্তোলনের চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। ২৬ এপ্রিলের মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন করে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চায় ইউক্রেন।

শুক্রবার ইউক্রেন সরকার  প্রকাশিত নথিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাসস

কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইউক্রেনের কৌশলগত খনিজ উত্তোলনের বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির তুমুল বাকবিতণ্ডায় সেই চুক্তি ব্যাহত হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্পও চুক্তিটি করতে আগ্রহী। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সম্পদ ও বিরল খনিজ পদার্থ উত্তোলন করে লভ্যাংশ পাবে, যা ইউক্রেনকে দেওয়া জো বাইডেনের সামরিক ও আর্থিক সহায়তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

উভয় দেশের স্বাক্ষরিত এক পৃষ্ঠার ‘স্মারকলিপি’ অনুসারে, উভয় পক্ষ ২৬ এপ্রিলের মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন এবং ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করার লক্ষ্য রয়েছে।

ইউক্রেনের সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ২১ এপ্রিলের পর ওয়াশিংটন ডিসি সফর করবেন এবং কারিগরি আলোচনা শেষ করতে সহযোগিতা করবেন।

নথিতে আরো বলা হয়, সমঝোতাকারী দল ২৬ এপ্রিলের মধ্যে আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো ওই তারিখের মধ্যে আলোচনা শেষ করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুক্তিতে স্বাক্ষর করা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে আমেরিকান ব্যবসায়িক স্বার্থ বৃদ্ধি যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে রাশিয়াকে ভবিষ্যতের আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করবে।

তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ করতে যেকোনো চুক্তির অংশ হিসেবে সামরিক ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য চাপ দিচ্ছে কিয়েভ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

18 − 5 =