খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের উন্নয়ন করা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। খবর বাসস

তিনি বলেন, “হাওর রক্ষা মানে দেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা।”

সোমবার রাজধানীর পানি ভবনে অনুষ্ঠিত ‘ইউকে-বাংলাদেশ কোলাবোরেশন অন ইকোলজি-বেইসড অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড হাইড্রোমেট সার্ভিসেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা জানান, জাতীয় হাওর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে অন্তর্ভুক্ত করে পানি আইনের আওতায় সুরক্ষা আদেশ প্রণয়ন করেছে। গেজেট প্রকাশের পর এসব এলাকা জলবায়ু ও কৃষিবান্ধব ইকোসিস্টেম হিসেবে ব্যবস্থাপিত হবে।

তিনি আরও বলেন, “হাওরবাসীরা এখনো স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। আমরা এমন একটি নৌ-হাসপাতাল মডেল বিবেচনা করছি, যা বন্যা ও শুষ্ক মৌসুম-উভয় সময়েই চালু রাখা সম্ভব হবে।” এ উদ্যোগটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এনরিচ’ (ইএনআরআইসিএইচ) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। যুক্তরাজ্যের মেট অফিস, রাইমস (আরআইএমইএস), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, “আগামী ছয় মাসে এই সহযোগিতা আমাদের বিশ্লেষণী সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে বৃষ্টিপাত ও জলবিদ্যুৎ তথ্য আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) এমেবেট মেনা, ব্রিটিশ হাইকমিশনের (ঢাকা) ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সিসিইআর-এর প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত, কেয়ার বাংলাদেশ নবপল্লব প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ও উপদেষ্টা সেলিনা শেলি খান এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সহকারী পরিচালক রওফা খানম।

প্যানেল আলোচনায় এডিবি, সিএনআরএস, আরএসএফ এবং বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের জাতীয় জলবায়ু নীতিতে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান ও স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × two =