গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইল দায়ী: অ্যামনেস্টি

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিদেও ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে বলেছে, এই মানবাধিকার সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘জেগে ওঠার’ আহ্বান জানিয়ে একটি নতুন প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

লন্ডন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, তাদের এই প্রতিবেদন ‘ইসরাইলি সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের অমানবিকতা এবং গণহত্যা’, গাজা থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ধংসাত্বক ভয়াবহ তথ্য এবং স্থল রিপোর্টেও ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টির প্রধান অ্যসনেস কালামার্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মাসের পর মাস ইসরাইল গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক আচরণ, তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মান-মর্যাদাকে ইচ্ছাকৃতভাবে শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের প্রকাশিত তথ্য দেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনিই জেগে ওঠা উচিত: কারণ এটা গণহত্যা। অবশ্যই এখনিই এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালালে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজায় প্রাণঘাতি অভিযান চালানো শুরু করে এবং হামাসকে চিরতরে নিমূর্লের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।

দ্য হেগ থেকে এএফপি আজ এই খবর জানিয়েছে। এএফপি’র প্রকাশিত ডাটা অনুযায়ী হামাসের আকস্মিক হামলায় ১২০৮ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যানুযায়ী এবং হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে এই পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ৪৪ হাজার ৫শ’ ৩২ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের তথ্য মতে গাজায় ইসরাইলি হামলায় এই পর্যন্ত ১৭ হাজারের মতো শিশু নিহত হয়েছে।

অ্যামনেস্টির প্রধান বলেছেন, সংস্থার তথ্যসমুহ গণহত্যা প্রতিরোধে জাতিসংঘ সনদের মানদন্ড অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল বার বার গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং অভিযোগ করে বলেছে হামাস বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 × two =