গানে গানে দিঠির ৩০ বছর

স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকপ্রাপ্ত উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, প্রযোজক, পরিচালক, সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সুযোগ্য কন্যা দিঠি আনোয়ার তার সংগীতজীবনে পথচলার ৩০ বছরের উদযাপন করতে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আমরা সূর্যমুখী’র আয়োজনে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আজ ২০ মে ঠিক সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী।

সূচনা ব্যক্তব্য দেবেন ‘আমরা সূর্যমুখী’র নির্বাহী পরিচালক ‘শফিকুল ইসলাম সেলিম। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন দিঠির মা জোহরা গাজী, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী, প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহাসহ আরও অনেকে।

সংগীতজীবনে পথচলার ৩০ বছর এবং আজকের আয়োজন প্রসঙ্গে দিঠি আনোয়ার বলেন, ‘আমি শুরুতেই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে তিনি আমাকে সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সেলিম চাচাকে আমার ৩০ বছরের পথচলাকে উৎসবে পরিণত করার জন্য। নিঃসেন্দহে আজ আব্বু বেঁচে থাকলে অনেক অনেক খুশি হতেন। তবে আমি বিশ্বাস করি, আব্বু আছেন তার গানের মধ্য দিয়ে সবার মনে প্রাণে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। আমি আব্বুর লেখা পুরোনো দিনের কিছু গান আজ শ্রোতা দর্শককে শোনাবো। সেই সাথে কিছু গান লিখে গেছেন, সেসব গানও শোনাবো। আমার সেঙ্গ অপু, ইউসুফও গাইবে। সবাইকে বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি অনুষ্ঠানে আসার জন্য। আশা করছি আজকের আয়োজন উপভোগ্য এবং স্মরণীয় হয়ে উঠবে।’

দিঠির সংগীতে হাতেখড়ি আট বছর বয়সে। বাবাই তাকে জন্মদিনে হারমোনিয়াম কিনে দিয়েছিলেন সেই বয়সে। শুরুতেই ওস্তাদ ইয়াসিন হোসেন খানের কাছে গানে উচ্চাঙ্গ সংগীতে তালিম নেন। ‘উল্কা’ সিনেমায় তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। তার গানে লিপসিং করেছিলেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দ্বৈত গানে তার প্রথম সহশিল্পী পলাশ। এ পর্যন্ত দিঠির চারটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। ৬০-এরও অধিক সিনেমাতে প্লে-ব্যাক করেছেন তিনি। দিঠির বাবার লেখা ‘দিঠির খাতা’ দিঠির জন্য ১৭টি মৌলিক গান লেখা আছে। সেখান থেকে চার-পাঁচটি গানের কাজ সম্পন্ন। সুর করেছেন আহমেদ কিসলু, অপু আমান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × 5 =