জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি ও নির্মাতা শহীদুল হক খান আর নেই। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিজ বাসভবনে মারা যান (ইন্নালিল্লাহে….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, কন্যা ও পুত্র। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শহীদুল হক খান গত ৫ বছর ধরে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সাথে কিডনিজনিত রোগ ও ডায়াবেটিস ছিল।
শহীদুল হক খানের ছেলে সাইফুল হক খান সৌরভ জানান, বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এরপর জানাজা শেষে বনানীর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৯০ সালে নির্মাণ করেন তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ছুটির ফাঁদে’। একই ছবিতে নিজের লেখা ‘সাগরের সৈকতে কে যেন দূর হতে ডেকে ডেকে যায়’ গানের জন্য তিনি গীতিকবি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার নির্মাণে আরও ছবির মধ্যে রয়েছে ‘কলমি লতা’ ও ‘সুখের সন্ধানে’। অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি শেষ করেছেন ‘একজন ভাষা সৈনিকের গল্প’ ও ‘আমার পিরানের কোনও মাপ নাই’ নামের দুটি সিনেমা।
সিনেমার চেয়ে তিনি নাটক নির্মাণ করেছেন বেশি। ১৯৯৪ সালে বিটিভিতে প্যাকেজ নাটক নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। যার শুরুটা করেন ‘কোথায় সেজন’ দিয়ে। ‘তিথি’, ‘কাশবনের কন্যা’, ‘মহামৃত্যু’, ‘নাটের গুরু’, ‘নায়ক’, ‘পঞ্চমী’ তার নির্মিত নব্বই দশকের আলোচিত প্যাকেজ নাটক।
নির্মাণের পাশাপাশি তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ৭৯টি। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার ফাঁসির রায়, জেগে ওঠে বাংলাদেশ, হাজার জনতার দৃষ্টিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু সকলের, জাতির স্নেহধন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উল্লেখযোগ্য।