গুরবাজ-আলিখিলের হাফ-সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের রান ২৮৪

রহমানউল্লাহ গুরবাজ-ইকরাম আলিখিলের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে  ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯ দশমিক ৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রান করেছে আফগানিস্তান। গুরবাজ ৮০ ও আলিখিল ৫৮ রান করেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটিই আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ দলীয় রান। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানও আফগানদের। গত বিশ্বকাপে লিডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৮৮ রান, এখন অবধি বিশ্ব মঞ্চে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।

নয়া দিল্লিতে টস জিতে প্রথমে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পাওয়ার প্লেতে  বিশ্বকাপ ইতিহাসে  নিজেদের সর্বোচ্চ ৭৯ রান তোলেন আফগানিস্তানের  দুই ব্যাটার।

১১তম ওভারে ওয়ানডেতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গুরবাজ। এজন্য ৩৩ বল খেলেন তিনি। বিশ্বকাপে আফগানদের তৃতীয় ওপেনার হিসেবে অর্ধশতক করলেন গুরবাজ।

১৭তম ওভারে জাদরানকে ২৮ রানে থামিয়ে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার আদিল রশিদ। ১০১ বলে  বিশ^কাপে  আফগানিস্তানের  তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১৪ রানের জুটি গড়েন গুরবাজ-জাদরান।

প্রথম উইকেট পতনের পর ৮ রানের ব্যবধানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় আফগানিস্তান। ১৯তম ওভারে তিন নম্বরে নামা রহমত শাহকে ৩ রানে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রশিদ। একই ওভারে রান আউট হন গুরবাজ। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮০ রানে  রান আউটের শিকার হয়ে থামেন গুরবাজ। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ওপেনার হিসেবে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।

১১৪ রানের শুরুর পর ১২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। এ অবস্থায় মিডল অর্ডার ব্যাটাররা বড় জুটির চেষ্টা করেও সফল হননি। এতে ১৯০ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতন হয় তাদের। আজমতুল্লাহ ওমারজাই ১৯, অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি ১৪ ও মোহাম্মদ নবি ৯ রানে আউট হন। অকশেনাল স্পিনার হিসেবে আগের ম্যাচের ভারতের বিপক্ষে ৮০ রান করা শাহিদিকে বোল্ড করেন জো রুট।

এরপর সপ্তম উইকেটে রশিদ খানকে নিয়ে ৪৮ বলে ৪৩ এবং অষ্টম উইকেটে মুজিব উর রহমানের সাথে ২৫ বলে ঝড়ো ৪৪ রান যোগ করেন ছয় নম্বরে নামা ইকরাম আলিখিল। এই দুই জুটির কল্যাণে ৪৯ দশমিক ৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।

৩টি চারে রশিদ ২২ বলে ২৩ রান, ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় মুজিব ১৬ বলে ২৮ রান করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন আলিখিল।

ইংল্যান্ডের রশিদ ৪২ রানে ৩ এবং মার্ক উড ৫০ রানে ২ উইকেট নেন।

বাসস 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two × 5 =