গুরুত্বহীন আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের সম্মান রক্ষার মিশন

সালেক সুফী

শ্রীলংকার কলম্বো প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার এশিয়া কাপ ২০২৩ গ্রুপ অফ ফোরের শেষ খেলায় আজ বাংলাদেশ ভারতের মুখোমুখি  হবে। ভারত ইতিমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার সাথে পর পর দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ ছিটকে পড়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। নিয়ম রক্ষার আজকের ম্যাচটি তাই নিতান্তই বাংলাদেশের সম্মান রক্ষার লড়াই। ভারত হয়তো আজ ওদের কয়েকজন মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে বিকল্প খেলোয়াড়দের পরখ করবে। হয়তো  বিশ্রাম নিবে রোহিত, বিরাট, রাহুল, বুমরাহ।  আজ হয়তো খেলতে পারে তিলক ভার্মা ,স্রেস আয়ার , সূর্য কুমার যাদব, প্রাশিদ কৃষ্ণা।  বাংলাদেশ দলীয় থাকবে না মুশফিকুর রাহিম। এমনিতেই বাংলাদেশ তরুণ, নবীনদের প্রাধান্য দেয়ার ব্যার্থ কৌশল নিয়ে আশাহত।  আজ প্রান্তিক খেলোয়াড়দের সামনে শেষ সুযোগ শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দীর বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা দিয়ে নিজেদের প্রমান করার।

স্বাভাবিক অবস্থায় বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ সাম্প্রতিক অতীতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন কিছু হবার সম্ভাবনা আজ সীমিত। তবুও আজ লিটন, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজ, আফিফদের সামনে আরো একটি সুযোগ। আজ সুযোগ আনামুল বিজয়কে আবারো দেখা নেয়া।  আজকের খেলায় অবশ্যই তরুণ তানজিদ তামিমকেও সুযোগ দেয়া যেতে পারে। মুস্তাফিজকেও আজ আবার সুযোগ দেয়া উচিত।

শেষ খেলার পর তরুণ দলটিকে কলম্বোতে রেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাক্তিগত কাজে দেশে এসেছিলো।  দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছে। কিছু গুজব শাখা প্রশাখা মেলছে। সাধারণের ধারণা কঠিন সময়ে সাকিব দলের সাথে থাকা ভালো ছিল। তরুণ খেলোয়াড়রা তার সার্নিধ্যে উপকৃত হত।  দেখলাম সাকিবের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা। ইদানিং সাংবাদিকরা যেমন কিছ কিছু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন বার বার করছে, তেমনি সাকিব নিয়েও নিজের ভারসাম্য হারিয়ে আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। অধিনায়কত্বে কিছু ভুল ভ্রান্তি ছাড়াও নিজেও কিন্তু বল বাট হাতে উপমধর্মী কিছু করে নি সাকিব।  জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে আরো সংযমী হওয়া সমীচীন বলে মনে করি। এমন কিছু করা বা বলা উচিত না যা বিতর্ক জন্ম দেয়।  সাধারণ মানুষের কাছে কিন্তু বাংলাদেশের দলনায়কের একটা বিশাল ভাবমূর্তি আছে। এশিয়া কাপে প্রত্যাশা পূরণ না হলেও বিশ্বকাপ মিশন কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  দলের ব্যার্থতার দায় ভার অধিনায়কের উপরও বর্তায়, বিশেষত যখন নিজেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না।

যাক সেই সব প্রসঙ্গ, প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালী হক বাংলাদেশকে আজ নিজেদের সেরাটুকু নিবেদন করে লড়াই করতে হবে। আশা করি ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। বিনা লড়াইয়ে যেন বাংলাদেশ আত্মসমর্পণ না করে। শ্রীলংকা দলটির খেলা থেকেও বাংলাদেশ অনেক কিছুই দীক্ষা নিতে পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen − ten =