দ্য ব্রুটালিস্ট, এমিলিয়া পেরেজ ও শোগান—৮২তম গোল্ডেন গ্লোবসের মঞ্চে এ তিনটি নামই বারবার উচ্চারিত হলো। বাংলাদেশ সময় ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দ্য বেভারলি হিলটন হোটেলে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এই আসরের মধ্য দিয়ে শুরু হলো হলিউডের অ্যাওয়ার্ড মৌসুম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া এক অভিবাসী স্থপতির গল্প নিয়ে তৈরি দ্য ব্রুটালিস্ট পেল তিনটি পুরস্কার। সেরা সিনেমা (ড্রামা), সেরা অভিনেতা হিসেবে অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, আর ব্র্যাডি করবেট পেলেন সেরা পরিচালকের পুরস্কার।
এবারের আসরে সর্বোচ্চ মনোনয়ন পাওয়া নেটফ্লিক্সের ক্রাইম মিউজিক্যাল সিনেমা এমিলিয়া পেরেজ বাগিয়ে নিল সর্বোচ্চসংখ্যক পুরস্কার। সেরা সিনেমা (মিউজিক্যাল/কমেডি), পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জোয়ি সালদানা, সেরা মৌলিক গান ও অ-ইংরেজি ভাষার সেরা সিনেমা—চারটি পুরস্কার গেল এমিলিয়া পেরেজের ঘরে। নারীতে রূপান্তরিত হওয়া একজন ড্রাগ মাফিয়ার গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমাটি এবার অস্কারেও যে এগিয়ে থাকবে, সে আভাস পাওয়া গেল গোল্ডেন গ্লোবসের আসর থেকে।
অন্যদিকে টেলিভিশন বিভাগে রাজত্ব করল ঐতিহাসিক গল্পের টিভি সিরিজ শোগান। সেরা ড্রামা সিরিজ, হারিউকি সানাদা সেরা অভিনেতা হিসেবে, সেরা অভিনেত্রী হিসেবে আনা সাউয়াই আর পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে তাদানোবু আসানো—মোট চারটি পুরস্কার পেল শোগান।
বড় চমক দেখালেন ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী ফার্নান্দা তোরেস। ‘আই অ্যাম স্টিল হেয়ার’ সিনেমায় অভিনয় করে মোশন পিকচার (ড্রামা) বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন তিনি। ব্রাজিলের কোনো অভিনেত্রী এবারই প্রথম এ বিভাগে পুরস্কার পেলেন। ২৫ বছর আগে এ অভিনেত্রীর মা ফার্নান্দা মন্টেনিগ্রো একই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তোরেসের এই পুরস্কারপ্রাপ্তি তাই গোল্ডেন গ্লোবসের আসরে স্মরণীয় হয়ে থাকল।
অভিনেত্রী ডেমি মুরেরও বিশেষ প্রাপ্তি ঘটল এবারের আসরে। ‘দ্য সাবসট্যান্স’ সিনেমার কল্যাণে মিউজিক্যাল/কমেডি বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন তিনি। ২৮ বছর আগে ডেমি মুর একবার মনোনয়ন পেয়েছিলেন গোল্ডেন গ্লোবসে। সেবার খালি হাতে ফিরলেও এবার পূর্ণ হলো তাঁর প্রাপ্তির খাতা। ৬২ বছর বয়সী অভিনেত্রীর এটাই প্রথম গোল্ডেন গ্লোবস জয়।
অন্যদিকে, বছরজুড়ে আলোচনায় থেকেও পুরস্কার পেল না ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’। প্রথম ভারতীয় হিসেবে গোল্ডেন গ্লোবসে মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন এ সিনেমার নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়া। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ পেয়ে সিনেমাটি দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল গোল্ডেন গ্লোবসে। তবে এমিলিয়া পেরেজের কাছে হারতে হলো এ সিনেমাকে।