চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনীতে ৩৭ জন চলচ্চিত্রকারকে সম্মাননা

বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬০ বছর ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের বছরব্যাপি উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত ‘চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’ এর সমাপনী ও উৎসবে নির্বাচিত চলচ্চিত্রকারদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশে গত ৬০ বছরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে ৩৭ জন চলচ্চিত্রকারের মোট ৪৩টি নির্বাচিত চলচ্চিত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০ দিনব্যাপি এই চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসব শুরু হয়েছিল ৮ জুন।

শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত উৎসবের সমাপনী ও নির্বাচিত চলচ্চিত্রকারদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী আসাদুজ্জামান নূর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী ও বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী মোরশেদুল ইসলাম। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাপনী আয়োজনের আরম্ভ করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ও বছরব্যাপি আয়োজনের জাতীয় উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোরশেদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের আমিও একজন সংসদকর্মী। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনই আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ও বিকাশের মূল চালিকা শক্তি। আমি নিজে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সবসময় চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকবো।’

সমাপনী আয়োজনের প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘সেই ষাট ও সত্তরের দশকে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে যুক্ত হই। চলচ্চিত্র নিয়ে আমাদের বোধ ও মনন গড়ে তোলার প্রধান স্কুল ছিল চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের চলচ্চিত্র গুণগত ও শৈল্পিক মানে উন্নীত হয়েছে। চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে এসেছে এ দেশের সেরা চলচ্চিত্রকারগণ। এটা অনেক বড় একটি অর্জন। বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিতে হবে এবং এর জন্য আমাদের আরও অনেক বেশি সহযোগিতা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণকারী নির্মাতাদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্রকার এনামুল করিম নির্ঝর, চলচ্চিত্রকার এনায়েত করিম বাবুল, চলচ্চিত্রকার এন রাশেদ চৌধুরী, চলচ্চিত্রকার মুহাম্মদ কাইউম, চলচ্চিত্রকার ফাখরুল আরেফিন খান, চলচ্চিত্রকার শৈবাল চৌধূরী, চলচ্চিত্রকার রফিকুল আনোয়ার রাসেল, চলচ্চিত্রকার সাইদুল আনাম টুটুলের স্ত্রী ড. মোবাশ্বেরা খানম ও চলচ্চিত্রকার শেখ নিয়ামত আলীর কন্যা শর্বরী ফাহমিদা।

সমাপনী অনুষ্ঠানের পর উৎসবের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল নির্মিত কাহিনীচিত্র ‘চিত্রা নদীর পারে’।

সারাবাংলা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two + 1 =