চলচ্চিত্র নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবরের জন্মদিন আজ

মনতাজুর রহমান আকবর  ১৯৫৭ সালে ৩১ জুলাই জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের হাস্তাবসন্তপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, সমাজকর্মী ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মারপিট ও প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য পরিচিত। তিনি মান্নার সঙ্গে ২২টি, ডিপজলের সাথে ২১টি এবং আব্দুল্লাহ জহির বাবুর সঙ্গে ৪৬টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এছাড়াও তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ডিপজল, সাদিকা পারভিন পপি, কেয়া, রিয়া সেন, শাকিবা, সংগীতা, অন্তরা বিশ্বাস, আকাশ খান এবং পুষ্পিতা পপির মতো অভিনেতাদের চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। তিনি প্যানারোমা মুভিজ, নয়ন-আপন প্রডাকশন, স্টারপ্লাস, প্রচেষ্টা, ড্রামা সার্কেল, চলতে চলতে এবং ফার্নিচার ভিলেজের প্রতিষ্ঠিতা।

আকবর পড়াশুনার পাশাপাশি বাবার ব্যবসার জন্য বিভিন্ন এলকায় যেতেন। বাবার ব্যবসায় দেখার পাশাপাশি কলেজের থিয়েটারের সাথে যুক্ত ছিলেন। আকবর ১৯৭৩ সালে মেট্রিক পাস করেন আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট হাই স্কুল থেকে এবং ১৯৭৫ সালে ইন্টারমেডিয়েট পাস করেন আক্কেলপুর এম আর ডিগ্রী কলেজ থেকে। কলেজে পড়াকালীন থিয়েটার পরিচালনা করতেন সারা বছর ধরে। তিনি স্থানীয় বেশ কিছু ক্লাব তন্মধ্যে আক্কেলপুর আদর্শ ক্লাব, আক্কেলপুর এমআর কলেজ ক্লাব, চান্তারা ক্লাবের সদস্য ছিলেন। বেশ কিছু থিয়েটার এর অন্যতম সংগঠক হিসাবে কাজ করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে রাজশাহী এডুকেশন বোর্ড এর অধীনে জয়পুরহাট ডিগ্রী কলেজ থেকে বি.এ.পাস করেন।

মনতাজুর রহমান আকবর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মঞ্চদলের নাটকে নির্দেশনা দেন। কলেজ জীবনের এই সময়ে মঞ্চ-নাট্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি এসময় আক্কেলপুর আদর্শ ক্লাব, আক্কেলপুর এমআর কলেজ ক্লাব, চান্তারা ক্লাবের হয়ে অনেকগুলো নাটক পরিচালনা করেন, যেগুলো মধ্যে মালার প্রেম, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা অন্যতম।

আকবর সহকারী পরিচালক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৮০ সালে পরিচালক আজিজুর রহমানের সহকারী হিসেবে ছুটির ঘণ্টা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন। পরবর্তীতে তার সহকারী হিসেবে ১৯৮১ সালে জনতা এক্সপ্রেস, মহানগর, সোনার তরী, ১৯৮২ সালে যন্তর মন্তর, ১৯৮৩ সালে মেহমান এবং ১৯৮৪ সালে মায়ের আঁচল চলচ্চিত্রে কাজ করেন। মতিন রহমানের সহকারী হিসেবে ১৯৮৩ সালে লাল কাজল, ১৯৮৯ সালে বীরঙ্গনা সখিনা ও ১৯৯২ সালে রাধা কৃষ্ণ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি জিল্লুর রহমানের মিস লোলিতা, আঁচল বন্দী, শুকতারা ও তকদিরের খেলা, নারায়ণ ঘোষ মিতার সুখের সংসার, আফতাব খান টুলুর দুনিয়া, এবং সাইফুল আজম কাশেমের দুনিয়াদারি চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four − 4 =