চলে গেলেন প্রখ্যাত গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিং

বিয়ের সূত্রে বাংলাদেশের বন্ধনে জড়িয়ে ছিলেন ভারতীয় এই সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী মিতালী মুখার্জিকে, যিনি পরে মিতালী সিং নাম নেন।

সোমবার মিতালীই স্বামী ভূপিন্দরের মৃত্যুর খবর জানান বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।

মিতালী আইএএনএসকে বলেন, “নানা ধরনের শারীরিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিছু দিন ধরে মূত্রনালীতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।”

এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৮২ বছর বয়সী ভূপিন্দরকে। সেখানেই সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এসময় তার করোনাভাইরাস সংক্রমণও ঘটেছিল।

গজল ছাড়াও বলিউড সিনেমায় নিয়মিত প্লে ব্যাক করতেন ভূপিন্দর। মাসুম, সত্তা পে সত্তা, আহিস্থা আহিস্থা, হকিকতসহ বিভিন্ন সিনেমায় তার গাওয়া গান বেশ জনপ্রিয় হয়।

তার মৃত্যুতে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন, “ভূপিন্দরজি আমার বড় দাদা ছিলেন। ওর গায়ন রীতি, কণ্ঠস্বর সবার থেকে আলাদা। ফের সঙ্গীত দুনিয়া অভিভাবকহীন হল। ফের দেশ তার আরও এক কৃতী সন্তানকে হারাল।”

১৯৪০ সালে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম ভূপিন্দরের। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে মহম্মদ রফি, রাহুল দেব বর্মণ, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, বাপ্পী লাহিড়ির মতো সব মহারথীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি।

গত শতকের ৮০ এর দশকে বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী মিতালী মুখার্জিকে বিয়ে করেন ভূপিন্দর। ময়মনসিংহের মেয়ে মিতালী বরোদায় পড়তে গিয়ে ভূপিন্দরকে বিয়ে করে ভারতেই থিতু হয়ে যান।

বাংলাদেশে সিনেমায় প্লেব্যাক করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মিতালী। দুই পয়সার আলতা সিনেমায় ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’ গানটি গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মিতালী। গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen − 1 =