চিত্রনায়ক ওমর সানীর জন্মদিনে আক্ষেপ জানালেন

নব্বই দশকের সুপারস্টার চিত্রনায়ক ওমর সানীর জন্মদিন ছিল ৬ মে। তিনি জানান, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে জন্মদিন বেশ ভালোই কাটছে। আয়োজন তেমন কিছু ছিল না। সাদামাটাভাবেই জন্মদিন পালন করছি। অবশ্য, গত ২০ বছর আমার জন্মদিনের বড় কোনো আয়োজন হয় না। কারণ, এ মাসে আমার মা মারা গিয়েছিলেন, ২৩ মে তার মৃত্যুর দিন। মে মাসে আমার ওপর একধরনের বিষণ্নতা ভর করে।’

এদিকে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছায় ভেসেছেন ওমর সানী। তিনি বলেন, ‘আমার জন্মদিনে অনেকেই আমাকে উইশ করেছেন। এমন এমন মানুষও উইশ করেছেন যাদের কাছ থেকে আশা করিনি। আর ফেসবুকে এতো মানুষ আমাকে উইশ করেছেন যে সেটা কল্পনারও অতীত। এখনো মানুষ আমাকে মনে রেখেছেন, ভালোবাসার কিছু বাক্য আমার নামে লিখেছে, আমি তাতেই অভিভূত।’

জন্মদিনেও ওমরসানীর কণ্ঠে ঝরে পড়ল আক্ষেপ। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বলতে গিয়ে আক্ষেপের সঙ্গেই জানালেন, ‘নব্বই দশকের সোনালি সময়ে আমরা কাজ করেছি। আমি আমার অতীত নিয়ে গর্বিত। তবে একটা কথা বলতে চাই, আমরা কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যাইনি। আমার চেয়ে বলিউডের সালমান ও শাহরুখের বয়স অনেক বেশি। আমরা প্রায় কাছাকাছি সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও সালমান–শাহরুখ এখনো কাজ করে যাচ্ছেন, অথচ ঢালিউডে আমাদের কাজে লাগানো হচ্ছে না।’

‘এখন এখানে সিনেমা হচ্ছে এককেন্দ্রিক, একজন হিরো—পৌনে তিন ঘণ্টা তাকেই দেখতে হবে! পাঁচটি ফাইট, পাঁচটি নাচ, তথাকথিত ‘তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না’ মার্কা ডায়ালগ, ভিলেনের ভাই হচ্ছে হিরো—এসব চলছে। এগুলো আর দর্শক নিতে চান না। দক্ষিণ ভারতে আমার বাবার বয়সী রজনীকান্তকে এখনো কাজে লাগানো হচ্ছে। আমাদের এখানে সেসব চেষ্টা নেই। ‘কেজিএফ’–এ রাভিনা ট্যান্ডনকে কীভাবে কাজে লাগিয়েছে! অথচ তিনি কিন্তু মাধুরীর মতো সুপারস্টার নন। কোথায় মৌসুমীকে কাজে লাগানো হচ্ছে? আমরা শিল্পীদের চেঞ্জ করতে পারি না! ৩০০ এমপির এলাকায় ৩০০ সিনেপ্লেক্স করে দিক সরকার। মানুষ এখন একটু আরাম করে সিনেমা দেখতে চায়।’

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − 19 =