চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান

ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। খবর বাসস

এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলবে ভারত। আগের পাঁচবারের মধ্যে চারবারই সেমিফাইনালের বাঁধা টপকিয়েছে  ভারত। একবার সেমি থেকে বিদায় নিতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।

১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আসরের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬ উইকেটে হারে ভারত। ২০০০ সালে নাইরোবিতে পরের আসরের সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৫ রানে হারায় টিম ইন্ডিয়া।

২০০২ সালে পরের আসরের সেমিতে কলম্বোতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০ রানে হারায় ভারত।  ফাইনাল ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত  শ্রীলংকার সাথে শিরোপা ভাগাভাগি করে ভারত।

১১ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ভারত। কার্ডিফের ঐ সেমিফাইনালে শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে টিম ইন্ডিয়া। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ট্রফি জিতে ভারত।

২০১৭ সালে সর্বশেষ আসরের সেমিফাইনালেও জয় পায় ভারত। বার্মিংহামের ঐ সেমির ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। ফাইনাল উঠলেও পাকিস্তানের কাছে ১৮০ রানে হেরে যায় ভারত।

অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পঞ্চম সেমিফাইনাল খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এরমধ্যে আগের চারবারের সেমিফাইনালে দু’বার করে জয়-হারের স্বাদ পায় অসিরা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দুই আসরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। ২০০২ সালে প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে অসিরা। কিন্তু কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সেমিতে শ্রীলংকার কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া।

পরের আসরে ২০০৪ সালেও সেমিফাইনালে উঠে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের কাছে ৬ উইকেটে হেরে যায় অসিরা।

পরপর দুই আসরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়া পরের দুই আসরে শিরোপা জিতে ঘরে ফিরে। ২০০৬ সালে মোহালিতে নিউজিল্যান্ডকে ৩৪ রানে এবং ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারায় অসিরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − thirteen =