সন্দেহ নেই ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং সব কিছুতেই শক্তিশালী ভারত কাল অস্ট্রেলিয়া থেকে ভালো ছিল। তাই যোগ্যতর দোল হিসাবেই ১.৫ ওভার হাতে রেখে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। কাল পাকিস্তানে দক্ষিণ আফ্রিকা অপর সেমিফাইনাল খেলবে নিউজিলণ্ড দলের বিরুদ্ধে। বিজয়ী দল ৭ মার্চ ২০২৫ দুবাইতে শিরোপার জন্য লড়াই করবে ভারতের বিরুদ্ধে। কাল টস জয় করে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করে ২৬৪ রানে অল আউট হয়েছিল। সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও নিজেদের ব্যার্থতায় অস্ট্রেলিয়া স্কোর ২৯০-৩০০ করতে পারে নি. উইকেটে স্পিন ধরলেও কিছু অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান তাড়াহুরো করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট বিলিয়ে দেয়ায় ৩০-৩৫ রান কম হয়। এর পরেও অস্ট্রেলিয়া ভালো বোলিং করে ভারতকে বিপদে ফেলেছিলো। বেশ কিছু ক্যাচ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফস্কে গেলে ভারত জয় তুলে নিতে কষ্ট হয় নি. ৪৮.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত জয় নিশ্চিত করে। কৌশল মোট চার স্পিনার নিয়ে ভারত খেললেও কালকের জয়ে পেসার মোহাম্মদ সামী এবং চৌকষ খেলোয়াড় হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
কাল অস্ট্রলিয়া ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ইনিংস সূচনা করতে পাঠিয়েছিল আনকোরা নবীন কুপার কলোনীকে ,সামি আর পান্ডিয়ার মোকাবেলায় হালে পানি না পেয়ে শুন্য হাতে ফিরে যায়। প্রাথমিক অস্বস্তি কাটিয়ে দারুন ভাবে জ্বলে ওঠা ট্রাভিস হেডকে ৩৯ রানে থামায় মিস্ট্রি স্পিনার ভারুন। একপর্যায়ে অভিজ্ঞ স্টিভ ,লেবুচাঙের সঙ্গে মিলে সহজাত দক্ষতায় ব্যাটিং করে দলের ইনিংস স্থায়িত্ব এনে দেবার পর্যায়ে ২৯ রান করা লেবুচাঙ জাদেজার শিকার হয়ে ফিরে যায়. আশা ছিল এই টুর্নামেন্টে ভালো ব্যাটিং করা জোশ ইংলিশ কিছু অবদান রাখবে। ওকেও সহসা ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসকে গতিহারা করে জাদেজা। ফিরতি স্পেলে এসে সামি স্মিথের ইনিংসের যবনিকা টেনে দেয়ার পর এক্স ফ্যাক্টর ম্যাক্সওয়েল বার্থ হয়. একমাত্র আলেক্স ক্যারি দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেও সঙ্গীর অভাবে দলের স্কোর ২৬৪ সীমিত থাকে।
ভারত ইনিংসের শুরুতে পর পর দুটি ক্যাচ পরে যায়. এর পরেও ৭.৫ ওভারের মাঝে শুভমান গিল এবং রোহিত ফিরে গেলে কিছুটা চেইপ পরে ভারত। এই সময় ভিরাট কোহলি এবং শ্রেয়স আয়ার ভালো খেলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯১ রান যোগ করে দলের শক্ত ভীত গড়ে দেয়। কোহলির সহজ ক্যাচ ম্যাক্সওয়েল ছেড়ে দেয়ায় ম্যাচের উপর অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়ে. একপর্যায়ে ৮৪ রান করা কোহলির উইকেট আডাম জাম্পা তুলে নিলেও তখন অনেক দেরি হয়ে গাছে। ম্যাচের শেষ দিকে রাহুল ( ৪২*) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (২৮) করে দলের জয় নিশ্চিত করে. নানা কারণে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং শক্তি অনেক খর্ব ছিল. তবুও ম্যাচে আরো তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমনকি ম্যাচ জয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারতো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ব্যাটিং ,বোলিং এবং ফিল্ডিং তিনটি ক্ষেত্রেই কিছু সহজ ভুল করে সুযোগ হারায় ক্যাঙ্গারু বাহিনী। যুগটোৰ দল হিসাবেই জয়ী হয়েছে ভারত।